মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের প্রস্তাবক মণ্ডল মুর্মুকে আটকের পরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছিল ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিতে। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কে রবি কুমার, আইপিএস অফিসার সঞ্জয় আনন্দ লাটকার এবং অমল বেণুকান্ত হোমকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তাঁদের নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানায় ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম)। তারপরেই প্রতিক্রিয়া জানালেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। তিনি জানিয়েছেন, মণ্ডল মুর্মুকে যেভাবে আটক করা ♎হয়েছে তাতে পুলিশ নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করেছে।
আরও পড়ুন: ঝাড🦩়খণ্ডে লড়াই সোজা না, মেনে নিলেন হিমন্ত, আশাবাদ🌱ী বিজেপির ফল নিয়ে
জেএমএম অভিযোগ করে যে গাড়িতে করে যাওয়ার সময় বেআইনিভাবে গিরিডি পুলিশ মুর্মুকে আটক করেছে। গিরিডি পুলিশ তার গাড়িটি আটকায়। গাড়িতে আরও কয়েকজন ছিলেন। পুলিশ তাদের কাছে গন্তব্যের কথা জানতে চায়। কিন্তু, না বলায় তাদের আটক করা হয়। এরপরেই নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপ🧸া𒅌তিত্বের অভিযোগ তুলে চাপ সৃষ্টি করে শাসক দল।
শাসক দল অভিযোগ তোলে, পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশন বিজেপির হয়ে কাজ করছে। তারা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। যদিও পরে ছেড়ে দেওয়া হয় হেমন্ত সোরেনের প্রস্তাবককে। তবে এটিকে একটি গুরুতর বিষয় উল্লেখ করে, জেএমএম নেতারা নির্বাচন কমিশনের কাছে তদন্তের 𝄹দাবি করেন এবং অবিলম্বে নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে আধিকারিকদের সরিয়ে দেওয়ার দাবি করে।
পরে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা উল্লেখ করে এই আটককে বেআইনি বলে উল্লেখ করেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। তিনি জানান, চেক পোস্টে গাড়ি তল্লাশির পুরো প্রক্রিয়াটির ভিডিয়োগ্রফি করা দরকার ছিল। কিন্তু, তা করা হয়নি। নির্দেশিকা উꦡল্লেখ করে তিনি আরও জানান, যদি꧋ কোনও আপত্তিকর কিছু গাড়ি থেকে না পাওয়া যায়, যেমন অবৈধ মদ বা হিসাব বিহীন নগদ টাকা বা মাদকদ্রব্য, তাহলে যাত্রীদের ছেড়ে দিতে হবে। কিন্তু এটিও করা হয়নি।
তিনি জানান, এই ঘটনার জন্য একটি তদন্তের রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে পুলিশের কাছে। ইতিমধ্যেই সেই রিপোর্ট পাওয়ার পর সেটি নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।  ♈;উল্লেখ্য, রবিবার জেএমএম অভিযোগ তোলে যে সাহেবগঞ্জ জেলার একজন সক্রিয় জেএমএম কর্মী এবং বিপ্লবী সিধু এবং কানহু মুর্মুর বংশধর মণ্ডল মুর্মুকে বিজেপি কর্মীরা অপহরণ করেছে এবং তাঁকে অজ্ঞাত জায়গায় নিয়ে গিয়েছে। আর পুলিশ সেই গাড়িটিকে আটক করেছে। তাঁর ফোন সারা𓃲দিন বন্ধ ছিল। পরে বিকালে জেএমএমের লিটিপাড়ার প্রার্থী হেমলাল মুর্মুর একটি নির্বাচনী সমাবেশে তাঁকে দেখা যায়।