পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ ঘিরে সদ্য কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল রাজস্থানের বানসওয়ারা। সেখানের ছোটি সারওয়ান গ্রামের বাসিন্দাদের 🌞সঙ্গে কার্যত খণ্ডযুদ্ধ দেখা যায় পুলিশের। ওই প্রস্তাবিত পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পাঁচিল দেওয়া নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত হয়। এলাকায় ওই মাহি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অংশে পাঁচিল দেওয়ার কাজ শুরু হতেই বিক্ষোভে নামেন গ্রামবাসী সহ বেশ কিছু উপজাতি নেতারা। ইট বৃষ্টির পাল্টা লাঠিচার্যের দৃশ্য দেখা যায় এলাকায়। প্রতিবাদ ঘিরে তপ্ত হয় পরিস্থিতি। আহত এক পুলিশকর্মী ভর্তি হন হাসপাতালে।
বিজেপি শাসিত রাজস্থানের বানসওয়ারায় হতে চলেছে একটি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র। প্রস্তাবিত সেই পরমাণু কেন্দ্রের শিলান্যাস করতে আসতে পারেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই প্রস্তাবিত পরমাণু কেন্দ্রে পাঁচিল দিতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাসিন্দারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে পুলিশ আসলে, পুলিশের ওপর ইটবৃষ্টি হয়েছে বলে খবর। পাল্টা চলে লাঠি চার্জ। এরপর 'ভারত আদিবাসী পার্টির' নেতা হেমন্ত রানা সহ ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বেশ কিছুক্ষণ দুই পক্ষের সংঘাতের পর জমি পুনরায় বিক্ষোভকারীদের থেকে দখলমুক্ত করে পুলিশ।📖 প্রশ্ন উঠছে, কী বিষয়ে এই বিক্ষোভে নামেন গ্রামবাসীরা?
রাজস্থানের বানসওয়ারার ছোট সারওয়ান ও খান্ডিদেবের মধ্যে আদিভিট, কাটুম্বি, ওয়াঙ্ক, লালপুরা সহ বহু এলাকার অংশ নিয়ে ওই পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি হতে চলেছে। যার জেরে ৩০০০ বাসিন্দাকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। এই পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ‘মাহি-বানসওয়ারা রাজস্থান অ্যাটোমিক পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রজেক্ট’ ২৮০০ এমডাব্লিউ বিদ্যুৎ তৈরি করবে। এই প্রজেক্টের জন্য ৬৬০.৫ হেক্টর জমি প্রয়োজন। এর মধ্যে, ৫৫৩ হেক্টর জমি নেওয়া হয়েছে। ‘নিউক্লিয়ার পাওয়ার কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড’ কর্তৃপক্ষ বলছে, এই এলাকার শিলান্যাস হয় অগജস্টে হবে নয়তো সেপ্টেম্বরে। কর্তৃপক্ষ যখন এলাকা পরিদর্শনে আসে, তখনই স্থানীয়রা তাঁদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান। প্রতিবাদীদের মধ্যে ছিলেন মহিলারা যাঁরা স্থানীয় হাইওয়ে ৯২৭-A অবরোধ করতে থাকেন। প্রশাসন বলছে, এলাকার কিছু সমাজবিরোধী সেখানে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছিল। জানা গিয়েছে, প্রতিবাদীদের দাবি, এই পরমাণু কেন্দ্র নির্মাণে প্রভাবিত এলাকার সমস্ত স্থানীয় যুবকদের ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কাজ দিতে হবে। স্থানীয় প্রতিটি পরিবারের প্রতিটি ব্যক্তিকে আলাদা আস্তিত্ব ধরে নিয়ে তাঁদের চাকরি দিতে হবে এবং বাড়ি দিতে হবে। স্থানীয় সাংসদ রাজকুমার রোয়াত বলছেন, স্থানীয়রা অনেকেই চাকরি, বাড়ির থেকেও বেশি জোর দিচ্ছেন সবুজ ঘেরা সুস্থ স্বাভাবিক পরিবেশের দিকে। পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরির ফলে পরিবেশে তার কী প্রভাব পড়বে, তা নিয়ে অনেক স্থানীয়ই দুশ্চিন্তায় বলে জানাচ্ছেন তিনি। তিনি এই বিষয়ে সরকার ও প্রতিবাদীদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।