স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্ট বা বিশেষ বিবাহ আইনের অধীনে সম্ভাব্য বিয়ের জন্য নোটিশ দেওয়া এবং তার বꦓিরুদ্ধে আপত্তি ডেকে আনা আবশ্যিক নয় বলে জানাল এলাহাবাদ হাই কোর্টের লখনউ বেঞ্চ।
ভিনধর্মে বিয়ে করার উদ্দে🍌শে এক দম্পতির আবেদনের শুনানিতে গত ১২ জানুয়ারি বিচারপতি বিবেক চৌধুরী এই রায় দিয়েছেন। বুধবার তা হাই ✨কোর্টের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে।
হাই কোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, ‘এই আদালত নির্দেশ দিচ্ছে যে, ১৯৫৪ সালের স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্ট-এর ৫ নম্বর ধারায় নোটিশ দেওয়ার সময় ম্যারেজ অফিসারের উদ্দেশে লিখিত আবেদন জানিয়ে ৬ নম্বর ধারায় নোটিশ প্রকাশ করা বা না করার স🌸ুযোগ আবেদনকারীদের দেওয়া হবে এবং এই আইন অনুযায়ী আপত্তি জানানোর প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।’
বলা হয়েছে, ‘যদি বিয়েতে যুক্ত কোনও পক্ষ এমন নোটিশ জারি করার লিখিত আবেদনজমা না দেন, 🍸সে ক্ষেত্রে ম্যারেজ অফিসার এমন কোনও নোটিশ প্রকাশ করবেন না এবং বিয়ে নিয়ে কোনও আপত্তি গ্রাহ্য করবেন না এবং বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করবেন।’
আদালত আরও জানিয়েছে যে, বিষয়টির এখানেই মীমাংসা হয়ে যেত যদি না আদালতে হাজির হয়ে তাঁদের মতামত জানাতেন হবু দম্পতি। রায়ে বলা হꦰয়েছে, ‘নবীন যুগল জানিয়েছেন যে, ১৯৫৪ সালের স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্ট অনুযায়ী তাঁরা বিয়ে করতে পারতেন, কিন্তু ওই আইনে ৩০ দিন আগে নোটিশ দিতে হয় এবং এই সময়ের মধ্যেই তার বিরুদ্ধে আপত্তি জানানো যায়। তাঁদের মতে, এমন নোটিশ তাঁদের গোপনীয়তায় অনুপ্রবেশ করার সমতুল এবং তার জেরে বিয়ে সম্পর্কে তাঁদের ইচ্ছার উপরে অপ্রয়োজনী🎉য় সামাজিক চাপ বা হস্তক্ষেপ করার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে।’
বলে রাখা দরকার, যোগী আদিত্যনাথ সরকার অর্ডিন্যান্স জারি করে উত্তর প্রদেশ অবৈধ ধর্মান্তকরণ নিরোধক আইন ২০২০ বলবৎ করার পরে ভিনধর্মে বিয়ের ক্ষেত্রে ৩০ দিন আগে নোটিশ জারি করা এবং আপত্তি থাকলে তা জানানোর ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করে। অর্থাৎ যে কেউ বিয়ে নিয়ে আপত্তি জানཧাতে পারেন।