কাশ্মীরে পর পর কাশ্মীরি পণ্ডিত গোষ্ঠীর একের পর এক পরিবারে হত্যাকাণ্ডের কালো ছায়া। পর পর কাশ্মীরি পণ্ডিতদের হত্যা ঘিরে ক্ষোভে ফেটে পড়ছে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের গোষ্ঠী। তাঁদের অভিযোগ, সেখানের লেফ্টন্যান্স গভর্নর মনোজ সিনহা এই বিষয়ে উদাসীন। সদ্য সেখানে পূরাণ কৃষ্ণ ভট্ট নামে এক ৪৮ বছর বয়সী পণ্ডিতের মৃত্যু হয়েছে। তারপর থেকেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এই গোষ্ঠ🍸ীভূক্তরা।
শোপিয়ানে একটি আপেলের বাগান ছিল পূরাণ কৃষ্ণ ভট্টের। এই কাশ্মীরি পণ্ডিতকে সেখানেই গুলি করে শনিবার হত্যা করে জঙ্গিরা। তারপর থেকে ক্ষোভ বাড়ছে। ভট্টের আত্মীয়রা বলছেন, 'এই সমস্যার স্থির সমাধানের উদ্যোগ চাই। এখানে স্থায়ীভাবে আমাদের সম্প্রদায়কে থাকতে দেওয়া হোক, আর কিছু চাই না।' তাঁরা বলছেন, জঙ্গীদের ক্ষমাভিক্ষা দানের বদলে কাশ্মীরের প্রত্যন্ত এলাকায় আমাদের এনে বসবাস করানোর মতো প্রক্রিয়া চাননা তাঁরা, তাঁরা চান স্থায়ীভাবে সদর্পে কাশ্মীরে বসবাস করা, যেখানে হিংসা থাকবে না। অন্যদিকে, আরও এক কাশ্মীরি পণ্ডিতের প্রশ্ন, 'কেন লেফ্টন্যান্ট গর্ভর্নর এখানে এলেন না? আমার বোন যে বিধবা হয়ে গেলেন, তার জন্য দোষী কে? তাঁর ছেলে মেয়েদের কে খাওয়াবে? পুরাণ কৃষ্ণ ভট্ট এই পরিবারের একা রোজগেরে ছিলেন।' পরিজনদের ক্ষোভ 🧔কার্যত উগড়ে পড়ছে। শোকার্ত অনেকের মতেই, কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নিয়ে সঠিক নীতি গ্রহণ করা হয়নি, তাঁদের বারবার ব্যবহার করা হয়েছে। এদিকে, আম আদমি পার্টির নেতা ও কাশ্মীরি পণ্ডিত এমকে যোগী বলছেন, এভাবে পর পর হত্যাকাণ্ড হয়ে গেলেও তা নিয়ে উদাসীন প্রশাসন। তাঁর আঙুলও সেখানের ল্যাফ্টন্যান্স গভর্নর মনোজ সিনহার দিকে।
জম্মু কাশ্মীরে ইতিমধ্যেই ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে বিয়ার বিক্রি নিয়ে ক্ষোভ উঠেছে লেফ্টন্যান্ট গভর্নরের দিকে। ক্ষোভে সামিল হিন্দু ও মুসলিম দুই গোষ্ঠীই। এদিকে, পুরাণকৃষ্ণ ভট্টে মৃত্যুকে তাঁর পরিবারের সদস্যরা বলছেন, 'আমাদের পণ্ডিত গোষ্ঠীর ছেলে মেয়েরা প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্যাকেজের আওতায় রয়েছে। সেই থেকে ✅ওরা চিনে ফেলছে। যে লেফ্টন্যানট গভর্নর উত্তর প্রদেশ থেকে এসেছেন, তাঁকে ফিরিয়ে নেওয়া হোক।' উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে আর্টিক্যাল ৩৭০ ধারা অবলুপ্ত হওয়ার পর থেকে কাশ্মীরে ক্রমাগত হত্যা চলেছে হিন্দুদের। বেছে বেছে সেখানে ধর্ম অনুযায়ী হত্যাকাণ্ড ঘিরে ক্ষোভে ফুঁসছেন সম্প্রদায়ের মানুষ।