পুরীর রত্ন ভাণ্ডারে কিলো কিলো সোনার পাশাপাশি আছে সাপ? এমনই আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর এর জেরেই কোষাগারের দরজা খোলার সময় সাপুড়ে এবং চিকিৎসকরা সেখানে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি বিশ্বনাথ রথের নেতৃত্বাধীন ১৬ সদস্যের কমিটির তত্ত্বাবধানে আজ খুলতে চলেছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের এই রত্ন ভাণ্ডার। এর আগে ১৯৭৮ সালে শেষবার খুলেছিল এই দরজা। রিপোর্ট অনুযায়ী, পুরীর রত্ন ভাণ্ডার দু'টি চেম্বারে বিভক্ত। সেই ভাণ্ডারের ভিতরের চেম্বারটি অনেক বড় বলে দাবি করা হয়। এদিকে যারা যারা আজ রত্ন ভাণ্ডারে প্রবেশ করবেন তারা সকলেই নিরামিষ খাচ্ছেন। রত্ন ভাণ্ডারে প্রবেশের আগে লোকনাথ দেবের পূজা করবেন তাঁরা। (আরও পড়ুন: ৪৬ বছর༺ পর খুলছে পুরীর রত্ন ভাণ্ডারের দরজা, জগন্নাথ 🐲দেবের কোষাগারে দেখা যাবে কী?)
আরও পড়ুন: গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে পড়ে গিয়েও উঠে দাঁড🃏়ালেন ট্রাম্প, হামলা নিয়ে কী বললেন তিনি?
আরও পড়ুন: রাজভবনেই কর্মীর সঙ্গဣে জঘন্য কাজ রাজ্যপালের ছেলের? গ🔯্রেফতারির দাবি বিরোধীদের
উল্লেখ্য, রত্ন ভাণ্ডার খুলে তার ভিতরের সামগ্রী দেখার জন্যে পর্যাপ্ত আলোচর ব্যবস্থা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রথমে পুরী জেলা প্রশাসনের কাছে থাকা ডুপলিকেট চাপি নেমে এসজেটিএ-র প্রধানের নেতৃত্বে থাকা বিশেষজ্ঞ দলটি। এরপরে কোষাগারের দরজা খোলার 'শুভ মুহূর্ত' নির্ধারণ করবেন মন্দিরের সেবায়েতরা। তবে ১৯৭৮ সালে লাগানো তালা যদি চাবি দিয়ে না খোল যায় তখন? জানা গিয়েছে, একান্তই যদি চাবি দিয়ে তালা না খোলে, তাহলে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে রত্ন ভাণ্ডারের তালা ভাঙা হবে। এদিকে ভিতরে কাঠের বাক্সে সব জিনিস রাখা থাকত, এই আবহে সেই সব বাক্সের কী হাল, তা জানা নেই কারও। কারণ এত বছরে সেই রত্ন ভাণ্ডারের কোথা থেকে জল চুইয়ে পড়তেই পারে। (আরও পড়ুন: তদন্তের শুরুতেই প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর দাবি,💖 ট্রাম্প♑ের কানে নাকি গুলি লাগেইনি)
আরও পড়ুন: ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপরে কে গুলি♔ চালিয়েছিল? জানা গেল ཧবছর ২০'র বন্দুকবাজের পরিচয়
এর আগে ১৮০৫ সালে প্রথমবার সরকারি ভাবে জানা গিয়েছিল যে পুরীর রত্ন ভাণ্ডারে কী আছে। এই রত্ন ভাণ্ডার আদতে ১১.৮ মিটার উঁচু একটি মন্দির। প্রায় ২০৯ বছর আগে পুরীর তৎকালীন কলꩲেক্টর চার্লস গ্রোম দাবি করেছিলেন রত্ন ভাণ্ডারে ময়ূরপঙ্খির আকারের মুকুট থেকে শুরু করে সুন্দর কারুকার্য করা সোনা ও রুপোর গয়না আছে প্রায় ৬৪। এছাড়াও শতাধিক মোহর থাকার কথা তিনি উল্লেখ করেছিলেন। এপর ১৯৫০ সালে শ্রী জগন্নাথ টেম্পল অ্যাডিনিস্ট্রেটিভ অ্যাক্ট কার্যকর করা হয়। সেই সময় রত্ন ভাণ্ডারের সোনা-দানার পরিমাণ আরও অনেক গুণ বেশি ছিল। পরে শেষবার ১৯৭৮ সালে ৭০ দিন লাগিয়ে রত্ন ভাণ্ডারের সামগ্রীর তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। এবারও সেই ধরনের একটি তালিকা তৈরি হবে। তবে এবার তৈরি হবে ডিজিটাল ক্যাটালগ। আরবিআই আধিকারিদের সাহায্য নেওয়া হবে রত্ন ভাণ্ডারের সোনা-দানা সহ বাকি সম্পদের মূল্য নির্ধারণের জন্য।