কুতুব মিনার তৈরি হয়েছে তাঁর পূর্বপুরুষের মালিকানাধীন জমিতে। এমনই দাবি করেছিলেন কুমার মহেন্দর ধওয়াজ𝐆 প্রসাদ সিংহ। সেই দাবির প্রেক্ষিতে কুতুব মিনারে পুজো পাঠের অনুমতি চেয়ে দিল্লির সাকেত আদালতে আবেদনও জানিয়েছিলেন তিনি। তবে প্রসাদের মালিকানা সংক্রান্ত দাবি খারিজ করে দিলেন আদালতের অতিরিক্ত জেলা জজ দীনেশ কুমার। যদিও কুয়াত-উল ইসলাম মসজিদে হিন্দু এবং জৈনদের পুজো ♌পাঠ সংক্রান্ত মামলার প্রেক্ষিতে আদালতে সওয়াল জবাব চলবে বলে জানিয়েছেন বিচারক।
এদিকে মহেন্দর ধওয়াজ প্রসাদ সিংহের দাবি ছিল, তিনি তোমর রাজবংশের বংশধর। আদালতে বলেছেন, যে জমির উপরে কুতুব মিনার নির্মাণ করা হয়েছি, সেই জমির মালিকানা বংশানুক্রমে তাঁর। নিজেকে পুজোর অনুমতি সংক্রান্ত মামলার পক্ষ করার দাবি জানিয়ে প্রসাদ বলেছিলেন, তাঁর পূর্বপুরুষ রাজা রোহিণী রমন ধওয়াজ প্রসাদ সিংহ এই জমির মালিক ছি🌞লেন। শুধু তাই নয়, গোটা আগ্রা ইউনাইটেড প্রোভিন্সের মালিক তিনি। যদিও আর্কিয়োলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া তাঁর সেই দাবির বিরোধিতা করে𓆏ছিল।
এদিকে কুতুব মিনারে পুজো পাঠের অনুমতির দাবিরও বিরোধিতা করেছে আর্কিয়োলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। এএসআই, জানিয়েছে ১২ শতকের এই স্তম্ভে কোনও👍দিন পুজো অর্চনা করা হয়নি। এবং আইত এখানে পুজো করতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া যায় না। ১৯১৪ সাল থেকে কুতুব মিনার একটি সুরক্ষিত স্তম্ভ বলেও জানায় আর্কিয়োলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। এদিকে মামলাকারীদের দাবি, ২৭টি হিন্দু এবং জৈন মন্দির ভেঙে কুতুব মিনার তৈরি করা হয়েছিল। এর প্রেক্ষিতেই আদালতে একটি পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল। তাদের দাবি, কুতুব মিনার চত্বরে পুজো করার অনুমতি দেওয়া উচিত। সেই দাবির প্রেক্ষিতে আগামী ১৯ অক্টোবর আদালতে শুনানি হবে বলে জানান বিচারক।