সামনেই উৎসবের মরশুম। যাঁরা মনে করছেন, উৎসবের ভিড়ে টিকিট না কেটেই ট্রেন সফর করলেও 'কুছ পরোয়া নেহি', তাঁরা কিন্তু আগেভাগেই সাবধান হয়ে যান। যদি মনে করেন দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে বা নেটওয়ার্ক সমস্যার জেরে টিকিট না কেট🧸েই ট্রেন সওয়ার হবেন, এবং উৎসবের মরশুমে কর্তৃপক্ষের চোখে ফাঁকি দেবেন, সেটি কিন্তু হচ্ছে না। কারণ, যাত্রীদের একাংশের এই মানসিকতা উপলব্ধি করেই টিকিট পরীক্ষা পদ্ধতি আরও আঁটোসাঁটো করছে ভারতীয় র♑েল।
টাইমস অফ ই𒆙ন্ডিয়ায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, রেলের আধিকারিকরাই জানিয়েছেন, উৎসবের ভিড়ে কিছু মানুষের টিকিট না কেটে ট্রেনে চড়ার প্রবণতা রয়েছে। মূলত, তাঁদের পাকড়াও করতেই এই নির্দিষ্ট সময়ে বিশেষ টিকিট পরীক্ষা অভিযান চালা𝓡নো হবে। বাদ যাবেন না উর্দিধারীরাও।
অভিযোগ, পুলিশে চাকরি করার সুবাদে অনেকেই ট্রেনের টিকিট কাটেন না! বস্তুত, বিনা টিকিটের সওয়ারিদের মধ্যে তাঁদের সংখ্য়াই সবথেকে বেশি। এহেন আইনভঙ্গকারীদের এবার হাতেনাতে ধরার ব্যবস্থ✅🐈া করছে রেল কর্তৃপক্ষ।
গত ২০ সেপ্টেম্বর রেল মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ভারতীয় রেলের ১৭টি জোনের জেনারেল ম্যানেজারদের এই মর্মে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, টিকিট না কেটে যা𓆏ঁরা ট্রেনে চড়েন, তাঁদের ধরতে অবিলম্বে একটি বিশেষ অভিযান শুরু করতে হবে।
ওই চিঠিতে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী ১ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর এবং তারপর ২৫ ♏অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত এই অভিযান চালানো হবে। এই অভিযানে যে দোষীদের পাকড়াও করা হবে, তাঁদের সকলের বিরুদ্ধেই ১৯৮৯ সালের রেলওয়ে আইন মোতাবেক কঠোর পদক্ষেপ করতে হবে।
রেলের যে আধিকারিকরা বিভিন্ন ডিভিশনে মূলত টিকিট পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন,🅰 তাঁদ🔯ের বক্তব্য, টিকিট না কেটে ট্রেনে চড়ার প্রবণতা সবথেকে বেশি পুলিশকর্মীদের মধ্যে দেখা যায়! এবার তাঁদের উপর বিশেষ নজরদারি চালানো হবে।
এই প্রসঙ্গে রেলের এক আ🌌ধিকারিক বলেন, 'সম্প্রতি গাজিয়াবাদ এবং কানপুরের মধ্যে আমরা একটি আকস্মিক টিকিট পরীক্ষা অভিযান চালাই। তাতে দেখা যায়, একাধিক মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনের বাতানুকূল কামরায় সওয়ার পুলিশকর্মীদের অধিকাংশেরই কাছে যাত্রার জন্য টিকিট নেই! এরপর আমরা যখন তাঁদের জরিমানা করি, তাঁরা প্রথমে তা দিতে অস্বীকার করেন। এমনকী, আমাদের এই জরমানা করার ফল ভোগ করতে হবে বলেও হুমকি দেন।'
ওই আধিকারিক আღরও জানিয়েছেন, 'কিন্তু, এরপরও আমরা পিছু হঠিনি। আইন অনুসারে তাঁদের জরিমানা করেছি। তাঁরা তা দিতে বাধ্যও হয়েছেন। এই ঘটনায় অন্য যাত্রীরা রীতিমতো অবাক হয়ে যান। তাঁরা খুশি হন এটা দেখে যে আইনঙ্গকারী 💫পুলিশকর্মীদেরও এভাবে জরিমানা দিতে হচ্ছে। রেলের টিকিট পরীক্ষকদের সঙ্গে তাঁদের আচরণ ছিল অত্যন্ত সদর্থক।'