আজমেঢ় শরিফে খাজা মইনুদ্দিন চিস্তির দরগায় চাদর চড়ালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কার্যত বহুদিনের স্বপ্ন পূরণ হল তাঁর। মাথায় চাদর দিয়ে রীতি মেনেই দরগায় প্রবেশ করেন মমতা। গোলাপি চেলি পরিয়ে স্বাগত জানানো হয় তাঁকে। ফুল ও চাদর হাতে দরগায় প্রবেশ করেন মুখ্য়মন্ত্রী। আর সেই সময় কিছুক্ষণের জন্য যেন মিলে গেল বাংলা ও রাজস্থান। চারদিক থেকে শুধু দিদি দিদি রব। সুদূর রাজস্থানেও বাংলার মুখ্য়মন্ত্রীকে ঘিরে আবেগ মন ছুঁয়ে গিয়েছে অনেকেরই।এদিন মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও ছিলেন। তবে রাজস্থানের মাটিতে দাঁড়িয়ে বাংলার দিদির জন্য যে বাঁধ ভাঙা আবেগ তা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। আর এদিন আজমেঢ় শরিফে চাদর চড়িয়ে কার্যত স্বপ্নপূরণ করলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে জাতীয় রাজনীতিতে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে তৃণমূল। একাধিক রাজ্যে ইতিমধ্যেই ঘাসফুল শিবির নিজেদের সংগঠন বিস্তার করতে চাইছে। বিজেপি বিরোধী শক্তিকে একছাতার তলায় আনার চেষ্টা। আর সেই নিরিখে রাজস্থানে মমতাকে ঘিরে আবেগ যথেষ্ট ভালো ইঙ্গিত তৃণমূলের কাছে।এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, আমার মনে আছে, যখন আমি রেলমন্ত্রী ছিলাম তখন আজমেঢ় শরিফ আর পুস্কর প্রজেক্ট পাশ করিয়েছিলাম। আমার দিকে আঙুল তোলা হয়েছিল।বলা হয়েছিল সাম্প্রদায়িক পদক্ষেপ। কিন্তু হিন্দু, মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের জন্যই এই প্রজেক্ট ছিল। স্বপ্নের প্রজেক্ট ছিল আমার। এর সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, রাজনৈতিক কাজে ব্যস্ত থাকার জন্য সেভাবে কোথাও যেতে পারি না। তাই এবার সুযোগ পেয়েছি।এদিকে ৭ ডিসেম্বর দলীয় সাংসদদের সঙ্গে মমতার বৈঠকের কথা আছে। আগামী শীতকালীন অধিবেশনে দল কীভাবে নিজেকে উপস্থাপিত করবে তারই রূপরেখা কার্যত ঠিক করে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনটাই সূত্রের খবর। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বাংলার বাইরে নিজের জনপ্রিয়তাটাও যাচাই করে নিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আর সর্বোপরি দরগায় চাদর চড়িয়ে অনেকেরই মনও জয় করলেন তিনি।