সীমান্ত নিয়ে ক্রমশ চড়ছে উত্তেজনার পারদ। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চারটি জায়গায় ভারত-চিন সেনার মধ্যে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত এবং তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে নিরাপত্তা সংক্রান্ত পর্যালোচনা বৈঠক করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।সীমান্ত নিয়ে চাপানউতোরের মধ্যে চলতি মাসে একাধিকবার সংঘর্ষে জড়িয়েছে দু'দেশের সেনা। গত ৫-৬ মে রাতে প্যাংগং সো লেকের কাছে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে প্রায় ২৫০ জন ভারতীয় ও চিনা সেনা। ঘটনায় আহত হন কয়েকজন জওয়ান। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গত ১০ মে উত্তর সিকিমের নাকু লা সেক্টরে দু'দেশের সেনার মধ্যে একপ্রস্থ হাতাহাতি হয়। সেবার আহত হন চার ভারতীয় এবং সাত চিনা জওয়ান।পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে সেই সংঘাত মিটিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হলেও চাপা উত্তেজনা এখনও রয়েছে। তার ইঙ্গিত মিলেছে চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যমগুলির আগ্রাসী মনোভাবে। সোমবারও দু'দেশের স্থানীয় কম্যান্ডারদের মধ্যেও আলোচনা উত্তেজনা প্রশমনে সক্ষম হয়নি। এরইমধ্যে লাদাখ সেক্টরে আরও সেনা মোতায়েন করেছে চিন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই সামরিক কর্তা হিন্দুস্তান টাইমসকে জানান, ওই অঞ্চলে ৫০০০ সেনা নিয়ে এসেছে বেজিং। চিনের তৎপরতায় চুপ করে বসে নেই নয়াদিল্লিও। বেজিংয়ের রণনীতির উপর কড়া নজর রাখার পাশাপাশি ধারেভারে ‘সামঞ্জস্য’ আনতে আরও জওয়ান পাঠানো হচ্ছে। ফলে উত্তেজনার পারদ ক্রমশ উর্ধ্বমুখী হচ্ছে। সূত্রের খবর, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চারটি এলাকায় কার্যত মুখোমুখি আছে দু'দেশের সেনা।বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০১৭ সালে ডোকলামের থেকে এবারের পরিস্থিতি আরও জটিল। ডোকলামের টানাপোড়েন ৭৩ দিন ধরে চললেও একটি ছোটো এলাকায় সেটি সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু এবার আর দ্বন্দ্ব ছোটো এলাকায় সীমাবদ্ধ নেই। সেজন্য সীমান্ত বরাবর একাধিক জায়গায় সেনার উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, এত সংখ্যক জওয়াান মোতায়েনের পিছনে আরও বড় কোনও কারণও থাকতে পারে। একইসঙ্গে তাঁদের মতে, উত্তেজনা প্রশমনে কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ বাঞ্চনীয় হয়ে পড়েছে।