জোড়া কৃষি বিল সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর জন্য ভোটাভুটির দাবি তোলা হয়েছিল বলে স্বীকার করলেন। কিন্তু সেই ভোটাভুটি না হওয়ার জন্য বিরোধীদের দুষলেন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ। দাবি করলেন, বিরোধী সাংসদদের হই-হট্টগোলের জন্যই ভোটাভুটি করা যায়নি।গত ২০ সেপ্টেম্বর সংসদের উচ্চকক্ষে আদতে কী ঘটেছে, তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সরকারপক্ষের তরফে যে দাবি করা হয়েছিল, তার সঙ্গে ফারাক পেয়েছিল একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। তারইমধ্যে রবিবার সন্ধ্যায় একটি বিবৃতি জারি করে নিজের স্বপক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান। তিনি দাবি করেন, বিলটি সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর জন্য সেদিন ১টা ১০ মিনিটে ডিভিশনের (ভোটাভুটির) দাবি জানান ত্রিচি শিবা। তাঁর দাবি, 'ওই ভিডিয়োয় দেখতে পাবেন যে ১ টা ৯ মিনিট নাগাদ, একজন সদস্য রুলবুক ছিঁড়ে দিচ্ছেন এবং আমার দিকে ছুড়ে দিচ্ছেন। তাছাড়া, আমায় কয়েকজন শত্রুভাবাপন্ন সদস্য ঘিরে ছিলেন। যাঁরা আমার থেকে কাগজ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন।'কারোর নাম না করলেও তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদকেই সেদিন রুলবুক হাতে দেখা গিয়েছিল। যদিও ডেরেক আগেই দাবি করেছেন, তিনি শুধু রুলবুক দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন। মোটেও রুলবুক ছিঁড়ে দেননি। নাম না করে ডেরেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার পাশাপাশি কী কারণে ভোটাভুটির পথে হাঁটেননি, ঘুরিয়ে সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান। বলেন, ‘আপনারা নিশ্চয় জানেন, নিয়ম ও প্রথা অনুযায়ী ডিভিশনের জন্য দুটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, ডিভিশনের দাবি জানাতে হবে। একইরকমভাবে গুরুত্বপূর্ণ হল যে কক্ষে স্বাভাবিক পরিস্থিতি থাকবে। আমি একটা সাংবিধানিক পদে আছি। তাই আমি আনুষ্ঠানিকভাবে (অভিযোগ) খণ্ডন করতে পারি না। আমি বিষয়টি আপনাদের নজরে আনছি এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আপনাদের বিবেকের উপর ছেড়ে দিচ্ছি। আমি রাজ্যসভা টিভির ভিডিয়ো ফুটেজও পাঠাচ্ছি এবং ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠাচ্ছি।’