আধার কার্ডবিহীন অসনের প্রায় ২৭ লক্ষ বাসিন্দার জন্য শীঘ্রই কিছুটা স্বস্তির খবর মিলবে। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন কেন্দ্রের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। খুব শীঘ্রই ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেনস (এনআরসি) আপডেট করার প্রক্রিয়া হিসাবে তাঁদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হবে।কংগ্রেস বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। এনআরসি প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে আধার পাননি রাজ্যের ২৭ লক্ষ মানুষ। আগামী দিনে তাঁর পাবেন কিনা তা জানতে চান কংগ্রেস বিধায়ক।হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, আমি এই বিষয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে পরামর্শ করছি এবং আশা করছি শীঘ্রই ইতিবাচক কিছু হবে। কিন্তু আমরা সুপ্রিম কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে যেতে পারি না। কিন্তু প্রয়োজন হলে আমাদের এই সমস্যা সমাধানের জন্য কোনও এক সময় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে হবে।'সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এই ২৭ লক্ষ মানুষের বায়োমেট্রিক্স সংগ্রহ করা হয়েছিল। যা এনআরসি আপডেট করার প্রক্রিয়া হিসাবে করা হয়। এর মধ্যে ১৯ লক্ষ মানুষ ২০১৯ সালের আগস্টে প্রকাশিত চূড়ান্ত এনআরসি তালিকা থেকে বাদ পড়ে। যেহেতু ২৭ লক্ষ মানুষের বায়োমেট্রিক্স লক হয়ে গেছে, তাই তারা আধার কার্ড পেতে অক্ষম।কংগ্রেস বিধায়ক পুরকায়স্থ বলেন, 'আধার না থাকার জন্য সাধারণ মানুষ ভুগছে। বিষয়টি এমন পর্যায়ে চলে এসেছে যে আধার না থাকার কারণে এই লোকেরা চাকরি, রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারছেন না।'২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট বলে, আপডেট করার পরে যাদের নাম এনআরসি তালিকায় রয়েছে তারা তাদের আধার কার্ড পাবে। যাঁদের নাম নেই, তাঁদের এনআরসিতে অন্তর্ভুক্তির জন্য নতুন করে আবেদন করতে হবে এবং তাঁদের নাম অন্তর্ভুক্ত হলে তাঁরা আধারও পাবেন।সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশের পর, ভারতের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে অন্যান্য প্রক্রিয়া অনুসরণ করার জন্য এনআরসি-কে অবহিত করতে হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তালিকাটি আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করা বাকি রয়েছে। যাতে এনআরসি-কে অবহিত করা যায় এবং তথ্য সুরক্ষিত রাখা যায়, এই দুটি বিষয় বর্তমানে কেন্দ্রের বিবেচনাধীন রয়েছে।২৭ লক্ষ বাসিন্দার সমস্যা সমাধানের জন্য রাজ্য সরকার একটি ক্যাবিনেট কমিটি গঠন করে। যে কমিটি, কীভাবে এর সমাধান করা যায় সে সম্পর্কে বিভিন্ন দল ও সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে।মুখ্যমন্ত্রী জানান, এনআরসি নিয়ে অসম সরকারের আংশিক পুনর্বিবেচনার আবেদন সহ বেশ কয়েকটি আবেদনের শুনানি করছে সুপ্রিম কোর্ট, কেন্দ্রকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলে। কিন্তু তার পরে আর তেমন কিছু এগোয়নি।