পূর্ণাঙ্গ ফল প্রকাশের আগেই কনজারভেটিভদের হয়ে হার মেনে নিলেন ব্রিটেনের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। নর্থ ইয়র্কশায়ারের রিচমন্ড এবং নর্থঅ্যালার্টন আসন থেকে নিজে জিতে সমর্থকদের উদ্দেশে ঋষি সুনক বলেন, 'এই নির্বাচনে লেবার পার্টি জয়ী হয়েছে।' এরপর তিনি বলেন, 'আমি ক্ষমাপ্রার্থী। এই হারের পুরো দায়িত্ব আমি নিচ্ছি।' এই নির্বাচনী ফলাফলকে খুবই দুঃখজনক বলে আখ্যা দেন ঋষি। উল্লেখ্য, ভারতীয় সময়, সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ পাওয়া খবর অনুযায়ী, কিয়ের স্টার্মারের দল লেবার পার্টি ৩০০-র বেশি আসনে জয়ী হয়েছে বা এগিয়ে আছে। আর ঋষি সুনকের কনজারভেটিভ পার্টি জিতেছে বা এগিয়ে আছে মাত্র ৬০টি আসনে। (আরও পড়ুন: লোকাল ট্রেন নিয়ে ব🍸ড় রায় কলকাতা হাই কোꦯর্টের, নিত্যযাত্রীরা জানুন বিশদে)
আরও পড়ুন: ডিএ-র জন্যেই বাংলার সরকারি কর্মীদের♛ বেতন থেকে কেটেছে 'বেশি টাকা'? বুঝুন অঙ্কটা
আরও পড়ুন: ১৫ জুলাই আদালতে ♐উঠবেই ডিএ মামলা, দাবি কনফেডারেশনের, সঙ্গে আরও এক বড় আপডেট
প্রসঙ্গত, ঋষি সুনকের নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ পার্টি ক্ষমতাচ্যুত হতে চলেছে ১৪ বছর পরে। ২০ মাস আগেই ঋষি সুনক ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন। ২০২২ সালের দিওয়ালির সময় তিনি প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত♍ হিসেবে✤ ব্রিটেনের গদিতে বসেছিলেন। তবে বিগত ২০ মাসে তাঁর কাজকর্মে ব্রিটিশ ভোটাররা সেভাবে সন্তুষ্ট নন বলেই উঠে এসেছিল বিভিন্ন সমীক্ষা এবং রিপোর্টে। এই আবহে ২০০৫ সালের পর ফের (শেষবার ২০০৫ সালে লেবার পার্টি ভোটে জিতে ২০১০ পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল) একবার ব্রিটেনে কনজারভেটিভদের হারিয়ে লেবার পার্টি ক্ষমতা দখল করতে চলেছে।
আরও পড়ুন: ভোলেবাবার অনুষ্ঠানে পদপিষ্টদের পরিবারের সঙ্গেౠ দেখা করলেন রাহুল, দিলেন বড় আশ্বাস
উল্লেখ্য, ব্রিটিশ সংসদের নিম্নকক্ষ বা হাউজ অফ কমনসে মোট আসন সংখ্যা ৬৫০। এই আব🅰হে সরকার গঠন করতে প্রয়োজন ন্যূনতম ৩২৬টি আসন। সেই দেশে সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছিল, এবারের ভোটে লেবার পার্টি ৪০০ আসনের গণ্ডি পার করতে পারে। আর কনজারভেটিভরা ১০০-র কমেই আটকে যেতে পারে। প্রাথমিক ভাবে ফলাফল যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে সেই সমীক্ষাই মিলে গিয়েছে। সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছিল, এবারে লেবার পার্টি ৪০ শতাংশ ভোট পেতে পারে, টোরিরা পেতে পারে ২০ শতাংশ ও নাইজেল ফারাজের নেতৃত্বাধীন কট্টরপন্থী দল রিফর্ম ইউকে পেতে পারে ১৬ শতাংশ ভোট।
এদিকে প্রাথমিক ফলাফল সামনে আসতেই ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন স্টার্মার। তিনি বলেন, 'ভোটাররা বুঝিয়ে দিয়েছেন যে তাঁরা পরিবর্তন চাইছেন। সব কিছুই ভোটারদের মাধ্যমে হয়। এই সমাজ থেকেই পরিবর্তনের সূচনা হবে।' এদিকে ভোটের নিরিখে রিফর্ম ইউকে অনেকটা দাগ কাটতে পারলেও আসনের নিরিখে হয়ত সেভাবে💖 প্রভাব ফেলতে পারবে না। তবে দলের প্রধান নাইজেল ফারাজ দাবি করেছেন, অনেক আসনেই ত☂াঁরা দ্বিতীয় স্থানে থাকবেন। তিনি দাবি করেন, ব্রিটেনে ডানপন্থী রাজনীতিতে একটা শূন্যস্থান তৈরি হয়েছে। এই আবহে আগামী কয়েক বছরে ব্রিটেন জুড়ে ডানপন্থী রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছেন নাইজেল।
এদিকে এবারের নির্বাচনে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রতিনিধি ব্রিটিশ সংসদে নির্বাচিত হতে চলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। 🌞২০১৯ সালের নির্বাচনে ব্রিটিশ সংসদে ১৫ জন ভারতীয় বংশোদ্ভীত নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবারে সেই সংখ্যাটা ছাপিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ৪০ বছর আগেও ব্রিটেনের সংসদে জাতিগত সংখ্যালঘু প্রতিন🧸িধির সংখ্যা ছিল শূন্য। আর এবারে তা প্রায় ১৪ শতাংশ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।