ইউক্রেনের স্নেক আইল্যান্ড এমনই একটি জায়গা, যেটি রাশিয়ার আগ্রাসনের থাবায় পড়েও, শেষমেশ তা কেড়ে নিয়েছে ইউক্রেন। আর রাশিয়া বনাম ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝে সেই স্নেক আইল্যান্ড থেকেই বড় বার্তা দিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। উল্লেখ্য, রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ আজ ৫০০🃏 তম দিনে। আর এই দিনেই পুতিনের দেশের প্রতি এল ইউক্রেনের কটাক্ষ।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ আগ্রাসনের সময় প্রথমের দিকেই রাশিয়ার সৈনিকরা কৃষ্ণসাগরে থাকা স্নেক আইল্যান্ডকে আক্রমণ করে। পাল্টা লড়াই চালায় ইউক্রেন। রাশিয়ার সৈনিকদের প্রতি ইউক্রেনের সৈনিকদের এক রেডিও বার্তা সেই সময় ভাইরাল হয়। যেখানে ইউক্রেন রাশিয়ার সেনাকে পিছু হঠে যাওয়ার জন্য হুঙ্কার দেয়। এদিকে, পরবর্তীতে সেই আইল্যান্ড রাশিয়া দখল করলেও, পরে রাশিয়ার বন্দিদের ছেড়ে দেওয়ার বদলে তারা সেখানের ইউক✃্রেন সেনা বন্দিদের ছেড়ে দেয়, ছেড়ে দেয় দ্বীপের দখল। আর সেকথা স্বীকার করে মস্কোওয়। মস্কোর দাবি, যাতে কৃষ্ণসাগরের পথে কৃষিপণ্যের আনাগোনা বন্ধ না হয়, তাই তারা স্নেক আইল্যান্ড ছেড়ে দিয়েছে। এদিকে, রাশিয়া বনাম ইউক্রেন যুদ্ধের ৫০০ তম দিনে সেই স্নেক আইল্যান্ড থেকে পুতিনের রাশিয়াকে কটাক্ষ করে একটি টুইট করেন জেলেনস্কি। ইউক্রেনেপ প্রেসিডেন্ট লেখেন, ' আজ আমরা স্নেক আইল্যান্ডে আছি, যেটি সমগ্র ইউক্রেনের মতো দখলদারদের দ্বারা কখনই জয় করা যাবে না, কারণ আমরা সাহসীদের দেশ।' তিনি লেখেন, ‘আমি এখান থেকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, এই বিজয়ের জায়গা থেকে, এই ৫০০ দিনের জন্য আমাদের প্রতিটি সৈন্যকে।’
( Video: সিন্ধুনদ পার করে শত্𝔍রু༒ ঘাঁটি দমনের লক্ষ্য! লাদাখে ঝড় তুলল ভারতীয় সেনার মহড়া)
উল্লেখ্য, রাশিয়া বনাম ইউক্রেনের যুদ্ধের মধ্যে যদি ইউক্রেনের ওডেসা বন্দরকে অবরুদ্ধ রাখতে হয়, তাহলে স্নেক আইল্যান্ডের দখল খুবই জরুরি। সেই জায়গা থেকে এই প্রথমেই এই স্নেক আইল্যান্ড দখল করেছিল রাশিয়া। এরপর তা রাশিয়ার থেকে পুনরুদ্ধারে জোরদার লড়াই করে ইউক্রেন। কৃষ্ণসাগরের এই দ্বীপে পড়ে গুলি, বোমা, চলে পর পর বিস্ফোরণ। একটা সময় এই দ্বীপের আকা💟শ যেন কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী হয়ে যায়। আর যুদ্ধের আজ ৫০০ তম দিনে সেখান থেকেই রণহুঙ্কার ফের একবার এল জেলেনস্কির তরফে।