সমকামী আইনজীবী সৌরভ কৃপালকে দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি পদে নিয়োগ করতে বলে ফের কেন্দ্রকে সুপারিশ পাঠাল সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম। এর আগে স্বার্থের সংঘাতের যুক্তি দেখিয়ে সমকামী আইনজীবী সৌরভ কৃপালের নাম ফিরিয়েছিল কেন্দ্র। উল্লেখ্য, কৃপালের সঙ্গী একজন ইউরোপীয় এবং তিনি সুইজারল্যান্ডের দূতাবাসে কাজ করেন। ২০১৮ সালে প্রথমবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি পদে নাম সুপারিশ করা হয়েছিল কৃপালের। সেই সময় কলেজিয়ামের সুপারিশ অগ্রাহ্য করেছিল কেন্দ্র। এরপর ২০১৯-এর জানুয়ারি, এপ্রিল এবং গত বছরের অগস্টে কৃপালকে নিয়ে সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখে কলেজিয়াম। (আরও পড়ুন: কেন্দ্রের অমতকে উপেক্ষা, ফের দুইܫ বাঙালি আইনজীবীকে বিচারপতি নিযুক্ত করতে সুপারিশ SC কলেজিয়ামের)
তবে গত ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রের যুক্তির স্বপক্ষে তথ্য চেয়ে আইনমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদকে চিঠি লেখেন তত্কালীন প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে। গোয়েন্দা তথ্যের ব্যাখ্যা পাঠান বিচারপতি বোবদে। তবে কেন্দ্রের তরফে একটি জবাবই দেওয়া হয়, 'কৃপালের সঙ্গী বিদেশি।' পরে ফের কৃপালের নাম ফেরত পাঠিয়ে দেয় কেন্দ্র। সেই প্রেক্ষিতে বর্তমান কলেজিয়াম বলে, কৃপালের সঙ্গী সুইৎজারল্যান্ডের নাগরিক। কলেজিয়ামের পর্যবেক্ষণ, সুইৎজারল্যান্ড ‘মিত্র রাষ্ট্র’। সাংবিধানিক পদাধিকারী অনেকেরই স্বামী বা স্ত্রী বিদেশের নাগরিক। সেই ক্ষেত্রে কৃপালের নিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁর সঙ্গীর নাগরিকত্ব বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে ন♍া। এদিকে প্রকাশ্যে নিজেকে সমকামী বলার কারণেও কৃপালকে নিয়ে আপত্তি রয়েছে কেন্দ্রের।
এই আবহে কলেজিয়ামের তরফে বলা হয়েছে, ভারতীয় সংবিধানের ১৯এ ধারা অনুযায়ী প্রত্যেকেরই মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। আর সেই মত প্রকাশের জন্য কাউকে সাংবিধানিক পদ পাওয়া থেকে বঞ্চিত করে রাখা যায় না। বিশেষ করജে সেই ব্যক্তি যদি বিচারপতি হওয়ার যোগ্য হন তাহলে মত প্রকাশের কারণে কোনও পদ পাওয়া থেকে তাঁকে বঞ্চিত করা যায় না।
এদিকে বম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি হিসেবে ফের একবার সোমশেখর সুদর্শনের নাম প্রস্তাব করেছে সুপ্রিম কোর💛্টের কলেজিয়াম। ২০২১ সালের ৪ অক্টোবর বম্বে হাই কোর্টের কলেজিয়াম বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার জন্য সোমশেখরের নাম প্রস্তাব করে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সেই প্রস্তাব গ্রহণ করে শীর্ষ আদালত। কღিন্ত ২৫ নভেম্বর কেন্দ্রের তরফে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামকে এই সুপারিশটি পুনর্বিবেচনা করার আবেদন করা হয়। কেন্দ্রীয় সররকারের যুক্তি ছিল, সোমশেখর আদালতে বিচারাধীন বেশ কিছু বিষয় নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে নিজের মত প্রকাশ করেছেন। আর তাই তাঁর নাম নিয়ে পুনর্বিবেচনার আবেদন জানানো হয়। যদিও কলেজিয়ামের মতে, সামাজিক মাধ্যমে সোমশেখর যা বলেছেন তা থেকে কোনওভাবে এটা মনে করা যায় না যে তিনি পক্ষপাতদুষ্ট।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক