দিল্লি ওয়াকফ বোর্ড আর্থিক দুর্নীতি মামলায় এক অভিযুক্তের জামিনের আবেদন সংক্রান্ত শুনানি চলাকালীন নিম্ন আদালতের পর্যবেক্ষণ ও মন্তব্যকে 'কঠোর' বলে উল্লেখ করল শীর্ষ আদালত। একইসঙ্গে, এই মামলায় নিম্ন আদালতের নির্দেশিকায় অনুমোদনও দিไল না সুপ্রিম কোর্ট।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন🅰 অনুসারে, সংশ্লিষ্ট মামলায় দিল্লির একটি আদালত এনফোর্স ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর ডিরেক্টরকে নির্দেশ দেন, তিনি যেন তাঁর আইনজীবীদের বলেন, যদি এই তদন্তকারী সংস্থার জন্য মামলার শুনানি শুরু করতে দেরি হয়, তাহলে তাঁরা যেন অভ⭕িযুক্তের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা না করেন।
একইসঙ্গে🔯, দিল্লির ওই আদালত এই নির্দেশিকাটি ইডি কর্তৃপক্ষকে 'রেকর্ড'-এ রাখারও নির্দেশ দেয়। বি🌜ষয়টি শীর্ষ আদালতের নজরে আনা হলে, সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ নিম্ন আদালতের এই মন্তব্য ও আচরণকে 'কঠোর' বলে উল্লেখ করে।
বুধবার রাজধানীর একট🎐ি আদালত দিল্লি ওয়াকফ বোর্ড আর্থিক দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত তথা আপ বিধায়ক আ🍷মানাতুল্লা খানের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে। সূত্রের দাবি, সেই মামলার শুনানি চলাকালীনই ইডি-এর ডিরেক্টরের উদ্দেশে উপরোক্ত বার্তাগুলি দেন সংশ্লিষ্ট বিচারক।
নিম্ন আদালতে এই ঘটনা ঘটার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই বিষয়টি শীর্ষ আদালতের নজরে আনেন অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল এস ভি রাজু। যে বেঞ্চে এই একই দুর্নীতির মামলায় অন্য এক অভিযুক্তের জামিনের আবেদন নিয়ে শুনানি চলছিল, সেই বেঞ্চের সামনেই বিষয়টি উত্থাপিত করেন🧸 রাজু।
শীর্ষ আদালতকে রাজু জানান, ♏সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতের বিচারক নাকি ভরা আদালতে সকলের সামনে বলেছেন, 'তিনি ইডি-কে উচিত শি♉ক্ষা দেবেন'!
নিম্ন♏ আদালত যে ইডি ডিরেক্টরকে জামিনের আবেদনের বিরোধিতা না করার নির্দেশ দিয়েছে, সেই বিষয়েও একটি নোট নেয় সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে, বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহর বেঞ্চের তরফে মন্তব্য করা হয়, 'এটা অত্যন্ত কঠোর'!
একইসঙ্গে, দুই বিচারপত๊ি রাজুকে বলেন, তিনি যেন নিম্ন আদালতের নির্দেশটি রেকর্ডে রাখেন এবং আদালত পরবর্তীতে তা পর্যবেক্ষণ করে দেখবে।
যেহেতু এই আর্থিক দুর্নীতির মামলাটি এখনও সুপꦑ্রিম কোর্টে অমীমাংসিত অবস্থায় রয়েছে, তাই আদালত ꩲজানিয়ে দেয়, নিম্ন আদালতের নির্দেশিকাও বিচারের আওতায় আনা হবে।
প্রসঙ্গত, এ⛦র আগে একাধিক মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, আর্থিক দুর্নীতির মামলায় যদি শুনানি শুরু করতে দীর্ঘ সময় লাগে, তাহলে সেই কারণেই অভিযুক্তকে জামিন দেওয়া যেতে পার꧅ে।
যার জেরে পরবর্তীতে একই ভিত꧃্তিতে অভিযুক্তদের জামিন দেওয়া শুরু করে নিম্ন আদালতগুলিও। যেখানে আগে আর্থিক দুর্নীতি প্রতিরোধী আইনের কঠোর ধারাগুলির আওতায় এই ধরনের অভিযুক্ত𝔍রা সহজে জামিন পেতেন না।