৩১শে ডিসেম্বর ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন অথরিটির ছাড়পত্র পুনর্নবীকরণের শেষ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে যাদের এফসিআরএ রেজিস্ট্রেশন হয়নি তাদের জন্য কোনও ছাড় দিল না সুপ্রিম কোর্ট। এদিকে এর জেরে ফের সমস্যায় পড়তে পারে প্রায় ৬ হাজার এনজিও। তবে এনিয়ে কোনও অন্তর্বতীকালীন নির্দেশ দিতে চায়নি আদালত। দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এনিয়ে নতুন করে আর হস্তক্ষেপ করতে চাইছে না আদালত। তারা সরকারের কাছে যেতে পারে। সেখানে স্বস্তি না মিললে তারা কোর্টে আসতে পারেন। এদিকে আমেরিকা ভিত্তিক একটি সংগঠন গ্লোবাল পিস ইনিসিয়েটিভের তরফে ৬হাজার এনজিওর লাইসেন্সের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়া নিয়ে চ্য়ালেঞ্জ করে আদালতে আবেদন করেছিল। তাদের তরফে আবেদন করা হয়েছিল পরবর্তী নির্দেশ না হওয়া পর্যন্ত এই এনজিওদের আগের লাইসেন্সেই কাজ চালিয়ে যেতে দেওয়া হোক। এদিকে সরকারের তরফে সলিসিটর জেনারেল জানান, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ১১,৫৯৪টি এনজিও আবেদন করেছিল। তাদের লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ করা হয়েছে। এর সঙ্গেই তিনি প্রশ্ন তোলেন হাউস্টনের একটি এনজিওর কেন ভারতের এফসিআরএ লাইসেন্স নিয়ে এত মাথাব্যাথা? তাদের উদ্দেশ্য়টা কী? তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সলিসিটর জেনারেল। এদিকে আবেদনকারীর তরফে জানানো হয়েছিল, মানবসেবার জন্য পাঠানো আর্থিক সহায়তাও আটকে দিতে চাইছে সরকার। এদিকে সলিসিটর জেনারেলের তরফে জানানো হয়, বিদেশ থেকে আসা অর্থ হাত ঘুরে নকশালদের হাতেও চলে যাচ্ছে। দেশের স্থিতাবস্থাও নষ্ট হতে পারে। এব্যাপারে গোয়েন্দা রিপোর্ট রয়েছে। এমনকী স্থানীয় অনুমোদনহীন এনজিও ও বৈদেশিক সহায়তার মাঝে একাধিক এনজিও মিডলম্যান হিসাবে কাজ করছে বলে দাবি করা হয়। তবে মাদার টেরেজার অর্গানাইজেশন মিশনারিজ অফ চ্যারিটিজের লাইসেন্স গত ৬ই জানুয়ারি রিনিউ করা হয়েছিল।