ক্লাস টেনের সোশ্য়াল স্টাডিজের বই। সেখানে সংবিধানের প্রস্তাবনার কথা উল্লেখ করা রয়েছে। আর সেখানেই বিরাট গলদ। তেলেঙ্গানার স্টেট কাউন্সিল অফ এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের ওই বইতে দেখা যাচ্ছে সোশালিস্ট আর সেকুল💙ার শব্দটি বেমালুম উধাও। তেলেগু আর ইংরাজি দুটি বইয়ের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ওই দুই শব্দ নেই। এতে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে।
তেলেঙ্গানা এডুকেশন ডে হিসাবে ২০ জুন পাঠ্য বই বিলি করা হয়েছিল। সেখানেই বিরাট বিপত্তি। এক শিক্ষক সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, সোশ্যালౠ স্টাডি বইতে ক্লাস ৮ ও ক্লাস ১০ এর সিলেবাসে সংবিধানের একাংশ পড়ানো হয়। তবে সেখানে দেখা যাচ্ছে সোশ্য়ালিস্ট ও সেকুলার শব্দটি নেই। একেবারে কভার পেজে এই কাণ্ড হয়েছে। এটা একটা🀅 বড় ভুল।
তবে SCERT'র পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছ🌌ে, এটা দেখার ভুলে হয়েছে। অনিচ্ছাকৃত ভুল। পাতার ডিজাইন করার জন্য যেটা♋ ডাউনলোড করা ছিল সেটা ঠিকঠাক দেখা হয়নি। তবে বইয়ের ভেতরের পাতায় সংশোধনের পরের যে প্রস্তাবনা সেটাই রয়েছে। তবে এনিয়ে তদন্ত হবে কি না তা নিয়ে জানা নেই।
ইন্ডিয়ান এক্♒সপ্রেসের প্রতিবেদন অনু♈সারে জানা গিয়েছে, ১৯৫০ সালে সংবিধানের সূচনার সময় Sovereign Democratic Republic ' কথাটি লেখা ছিল। কিন্তু পরে ১৯৭৬ সালে ৪২ তম সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে সেখানে Socialist, secular শব্দ দুটি যুক্ত করা হয়। ৪২ তম সংবিধান সংশোধনের সময় এটা করা হয়। আর এবার ক্লাস ১০এর বইতে সংবিধানের প্রস্তাবনায় সেই শব্দ দুটিই নেই।
এদিকে এই ঘটনাকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠছে। অনেকের মতে, বর্তমানে পাঠ্যবই থেকে এমন অনেক বিষয়কে সরিয়ে দেওয়🧸া হচ্ছে, বাদ দেওয়া হচ্ছে যা নিয়ে বিতর্ক চরমে উঠছে। সম্প্রতি একাধিক বিষয় মুছে ফেলা হয়েছে NCERT পাঠ্যপুস্তক থেকে। বংশগতির থিওরি থাকছে না, মুঘল আমলের বিষয়গুলি মুছে ফেলা হচ্ছে,শিল্প বিপ্লব, ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গা, ভারতীয় অর্থনীতিতে কৃষির♚ অবদান, সহ নানা বিষয়ের অংশকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে পাঠ্যপুস্তক থেকে। আর এসবের জেরেই ক্ষুব্ধ শিক্ষাবিদদের একাংশ।
তার মধ্য়েই সামনে এল নয়া বিতর্ক। সম্প্রতি এনসিইআরটির ডিরেক্টর দীনেশ প্রসাদ সাকলানিকে লেখা চিঠিতে ৩৩জন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষাবিদ জানিয়েছিলেন, এনসিআরটি বর্তমানে পাঠ্যবই পরিবর্তন করছে। সেক্ষেত্রে একাধিক বাক্যকে মুছে দেওয়া হচ্ছে। চ্যাপ্টার থাকছে না। কিছু বিভাগ বাদ পড়ছে। বলা হচছ♏ে এটাকে মেনে নেওয়া যাচ্ছে না বলে বাদ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এই মান্য়তা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত কে নিচ্ছেন সেটা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।