সেবি প্রধান মাধবী বুচকে তলব করল পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি। ২৪ অক্টোব তাঁকে কমিটির সামনে হাজির হতে বলা হয়েছে বলে দাবি করা হয় ইকোনমিক টাইমস। বর্তমানে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান হলন কংগ্রেস সাংসদ কেসি বেণুগোপাল। উল্লেখ্য, সেবি প্রধানের বিরুদ্ধে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল হিন্ডেনবার্গ। (আরও পড়ুন: PM ইন্টার্নশিপের রেজ𒁃িস্ট্রেশন চালু করছে সরকার, মিলবে ৬৬০০০, কীভাবে করবেন আবেদন?)
আরও পড়ুন: 'পাকꦛিস্তানে ভদ্র ভাবে...', পড়শি দেশে যাওয়ার আগে শান্ত গলায় কড়া বার্তা জয়শংকরের
আরও পড়ুন: GST সমেত🍃 ৭৯ হাজার ছুঁই ছুঁই সোনা, আজ কলকাতায় ফের বাড়ল হলুদ ধাতুর দাম
হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল, আদানিদের সঙ্গে যুক্ত বিদেশি ফান্ডে বিনিয়োগ করেছিলেন সেবি প্রধান এবং তাঁর স্বামী। এরপরই শুরু হয় তোলপাড়। এই অভিযোগ সামনে আসতেই প্রাথমিক ভাবে তা খারিজ করে দিয়েছিলেন মাধবী পুরী বুচ এবং তাঁর স্বামী ধবল বুচ। পরে বিস্তারিত বিবৃতি প্রকাশ করে তাঁরা নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেন। বুচ দম্পতির বিস্তারিত বিবৃতিতে বলা হয়, 'হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে উল্লেখিত সেই ফান্ডে আমরা বিনিয়োগ করেছিলাম ২০১৫ সালে। সেই সময় আমরা দু'জনেই সাধারণ নাগরিক ছিলাম এবং আমরা সিঙ্গাপুরে থাকতাম। মাধবী সেবির সদস্য হওয়ার ২ বছর আগের কথা সেটা।' (আরও পড়ুন: হরিয়ানা নির্বাচনের সময় প্যারোলে মুক্ত রাম রহিম,ꩵ BJP-কে ভোটের আবেদন ডেরার)
আরও পড়ুন: 'সঞ্জয় রায়কে প্রর💞োচনা...', আরজি কর কাণ্ডে আদালতে লিখিত 💖দিল CBI
আরও পড়ুন: 'সব বাংলাদেশিরই ভারতেꦓর সাথে সম্পর্ক রাখা উচিত', বয়কট ট্রেন্ডের মাঝে বার্তা BNP-র
এরপর আরও বলা হয়, 'সেই ফান্ডে আমরা বিনিয়োগ করেছিলাম কারণ তখন সেই ফান্ডের চিফ ইনভেস্টমেন্ট অফিসার ছিলেন অনিল অহুজা। তিনি ধবলের ছোটবেলার ভালো বন্ধু। স্কুলে এবং আইআইটি দিল্লিতে একসঙ্গে পড়াশোনা করেছেন তাঁরা। অনিল অহুজা সিটি ব্যাঙ্ক, জেপি মর্গ্যান, ৩আই গ্রুপের মতো বিভিন্ন বড় বড় সংস্থায় কয়েক দশক ধরে কাজ করে এসেছেন। আর অনিল অহুজা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে তারা এই ফান্ডের থেকে কোনওদিন বন্ড, শেয়ার বা ডেরিভেটিভের মাধ্যমে আদানি গোষ্ঠীর কোনও শেয়ারেই বিনিয়োগ করেনি।' (আরও পড়ুন: 'প্রমাণ লোপাটে𒀰 পুলিশের ভূমিকায় নজর...', আরজি কর কাণ্ডে আদালতে বিস্ফোরক CBI)
আরও পড়ুন: শারদীয়া উপলক্ষে যাত্রীদের পেটপুজোর 'উপহার' রেলের♒, মেনুতে থাকছে বড় চমক
উল্লেখ্য, হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়, সেবি প্রধান মাধবী পুরী বুচ এবং তাঁর স্বামীর অংশিদারিত্ব রয়ছে বারমুডা ও মরিশাসের অখ্যাত অফশোর ফান্ডে। আদানিদের সঙ্গে সেই ফান্ডের যোগ আছে। ২০১৭ সালে মাধবী সেবির পূর্ণ সদস্য হওয়ার আগে নাকি তাঁর স্বামী এই বিনিয়োগ পুরোপুরি নিজের নামে করার আবেদন জౠানিয়েছিলেন। যাতে মাধবীর বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত না হয়। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়েছে, একটি মাল্টিলেয়ার অফশোর স্ট্রাকচারের মাধ্যমে এই বিনিয়োগ করা হয়েছে। এই আবহে বিনিয়োগের বৈধতা এবং উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলে তারা। হিন্ডেনবার্গ দাবি করে, সেবি প্রধান মাধবী পুরী বুচ এবং তাঁর স্বামীর অংশিদারিত্ব রয়ছে বারমুডা ও মরিশাসের অখ্যাত অফশোর ফান্ডে। এই বিনিয়োগ নাকি অঘোষিত। ২০১৫ সালে এই বিনিয়োগ করা হয়েছিল। এদিকে ২০১৭ সালে মাধবী সেবির পূর্ণ সদস্য হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ২০২০ সালের মার্চ মাসে সেবির চেয়ারপার্সন হিসাবে তাঁর পদোন্নতি হয়।