জনসংখ্যায় প্রবীণ নাগরিকদের নিরিখে দেশের মধ্যে এক থেকে দশের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান বিবেক দেবরায় সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। সেই রিপোর্টে স্পষ্ট এই চিত্রই ধরা পড়েছে।সম্প্রতি রাজ্যওয়াড়ি প্রবীণ নাগরিকদের জনসংখ্যার নিরিখে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের অনুরোধে বিশেষ এই রিপোর্টটি তৈরি করেছে ইনস্টিটিউট ফর কম্পিটিটিভনেস। রিপোর্টে প্রবীণ নাগরিকদের নিয়ে দুটি গোষ্ঠীতে ভাগ করা হয়েছে। একটি হল প্রবীণ, অপরটি হল মোটামুটি প্রবীণ। এক্ষেত্রে প্রবীণ নাগরিকদের গোষ্ঠীতে প্রথমেই রয়েছে রাজস্থান। এরপরেই রয়েছে মহারাষ্ট্র ও তারপরে রয়েছে বিহার। সেই গোষ্ঠীতেই নবম স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এই রিপোর্টে প্রবীণ নাগরিকদের সামাজির অবস্থা, আর্থিক অবস্থা, স্বাস্থ্য পরিষেবা ও আয়–সুরক্ষার দিকটিও তুলে ধরা হয়েছে। সার্বিকভাবে এই ক্ষেত্রে কেমন ফল হয়েছে, রাজ্যভিত্তিক এই সব ক্ষেত্রে কেমন ফল হয়েছে, তা পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে তুলে ধরা হয়েছে। সেক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, স্বাস্থ্য পরিষেবায় জাতীয় গড় ৬৬.৯৭। সামাজিক অবস্থার গড় ৬২.৩৪। আর্থিক সুরক্ষার গড় ৪৪.৭। আয়–সুরক্ষায় গড় আরও কম, ৩৩.০৩।এই রিপোর্ট প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, ‘প্রবীণদের সমস্যা নিয়ে কম আলোচিত হয়। তবে বর্তমানে প্রবীণ নাগরিকদের সংখ্যা যে দেশে বাড়ছে, তা বলার কোনও অপেক্ষা রাখে না। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের তরফে প্রবীণ নাগরিকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে একাধিক উদ্যোগ নিতে দেখা গিয়েছে। করোনা আবহে সারা দেশ জুড়ে যে টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তাতে প্রবীণ মাগরিকদের বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। প্রবীণ মাগরিকদেরই আগে টিকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আর্থিক সুযোগ সুবিধাও দেওয়া হচ্ছে প্রবীণ নাগরিকদের। সম্প্রতি প্রকাশিত এই রিপোর্ট প্রবীণ নাগরিকদের বাড়তি কোনও সুবিধা দেয় কিনা, এখন সেটাই দেখার।