মাঝ আকাশে বিমানে প্রবল ঝাঁকুনি। তার জেরে যাত্রীদের মাথার উপরে ব্যাগপত্তর রাখার যে জায়গা আছে, সেখানে ছিটকে গেলেন এক ব্ꩵযক্তি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে একজন যাত্রী ওই ‘লাগেজ কম্পার্টমেন্ট’ থেকে নেমে আসছেন। তাঁকে নেমে আসতে সাহায্য করছেন এয়ার ইউরোপ বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার বিমানের যাত্রীরা। যে বিমানটি স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদ থেকে উরুগুয়ের রাজধানী মোন্তেভিদেওতে য🐭াচ্ছিল। মাঝ-আকাশে দুর্যোগের মুখে পড়ার জেরে ব্রাজিলে জরুরি অবতরণ করে বিমানটি। সবমিলিয়ে বিমানের ৪০ জনের মতো যাত্রী আহত হয়েছেন।
ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটি?
সংবাদসংস্থা এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাদ্রিদ থেকে উড়ে উরুগুয়ে যাওয়ার পথে স্প্যানিশ উড়ান সংস্থা এয়ার ইউরোপের বিমানটি দুর্যোগের মুখে পড💖়ে। সেই পরিস্থিতিতে উত্তর-পূর্ব ব্রাজিলের নাটাল বিমানবন্দরে ঘুরিয়ে দেওয়া হয় বিমানটিকে। তৈরি রাখা হয় এক ডজনের বেশি অ্যাম্বুলান্স।
ব্রাজিলের স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, চিকিৎসার জন্য ৪০ জন যাত্র🎃ীকে নাটালের বিভিন্ন হাসপাতাল এবং ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। আহত যাত্র🐻ীদের মধ্যে স্পেন, আর্জেন্তিনা, উরুগুয়ে, ইজরায়েল, বলিভিয়া এবং উরুগুয়ের নাগরিকরা আছেন।
যাত্রীদের প্রতিক্রিয়া
সংবাদসংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, এক যাত্রী জানিয়েছেন যে যাঁরা সিটবেল্ট পরে ছিলেন না, তাঁরা ছিটকে যান। বিমানের সিলিংয়ে ধাক্কা খান। তাঁদের চোট লাগে। যাঁরা সিটবেল্ট পরেছিলেন, তাঁদের অবশ্য তেমন কিছু হয়নি। অপর এক যাত্রী বলেন যে কয়েকজন যাত্রীর হাত ভেঙে গিয়েছে। কয়েকজনের হাত, পা, মুখ কেটে গিয়েছে। ভয়ংকর অবস্থা হয়েছিল। তাঁর কথ💧ায়, ‘মনে হচ্ছিল যে আমরা আর বাঁচব না। ’
সিটবেল্ট পরতে অনীহা যাত্রীদের
বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেক ক্ষেত্রেই যাত্রীরা সিটবেল্ট পরে থাকতে চান না। তাঁরা সিটবেল্ট খুলে ফেলেন। ফলে আচমকা যদি মাঝ-আকাশে টার্বুল্যান্সের মুখে পড়ে বিমান, তাহলে তাঁদের চোট-আঘাত পাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। আর হামেশাই সেই ঘ🃏টনা ঘটছে বলে দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বেড়েছে টার্বুল্যান্স
বিজ্ঞানীদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য টার্বুল্যান্সে🔯র আশঙ্কা আরও বেড়েছে। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছ🐲ে যে ১৯৭৯ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে বার্ষিক টার্বুল্যান্সের (আচমকা আসে, কোনও পূর্বাভাস মেলে না) স্থায়িত্ব বেড়েছে ১৭ শতাংশ। আর মারাত্মক বিপজ্জনক টার্বুল্যান্সের স্থায়িত্ব ৫০ শতাংশের মতো বৃদ্ধি পেয়েছে।