বুয়েন্স আয়ার্স থেকে ফ্রাঙ্কফুর্টগামী লুফথানসার একটি ফ্লাইট আটলান্টিক মহাসাগরের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় তীব্র ঘূর্ণিপাকের কবলে পড়লে ১১ জন আহত হয়েছেন।লুফথানসা জানিয়েছে, বোয়িং ৭৪৭-৮ বিমানটিতে ৩২৯ জন যাত্রী ও ১৯ জন ক্রু ছিলেন। তবে এই কম্পনটি সংক্ষিপ্ত ছিল এবং একটি আন্তঃক্রান্তীয় কনভারজেন্স জোনে ঘটেছিল।লুফথানসার এক মুখপাত্র ইমেইলে রয়টার্সকে বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে পাঁচ যাত্রী ও ছয়জন ক্রু সামান্য আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, 'বিমানটির নিরাপত্তা কোনো সময়ই ঝুঁকির মধ্যে পড়েনি।লুফথানসা জানিয়েছে, বিমানটি নিরাপদে ফ্রাঙ্কফুর্টে অবতরণের পর আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে।গত মে মাসে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স পরিচালিত বোয়িং ৭৭৭ বিমানে চরম ঝাঁকুনির কবলে পড়ে এক যাত্রীর মৃত্যু হয়। লন্ডন থেকে আসা বিমানটি ব্যাংককে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়।ইরাবতী অববাহিকার ৩৭ হাজার ফুট ওপর দিয়ে বিমানটি আকস্মিক চরম টার্বুলেন্সের কবলে পড়লে আরও কয়েকজন যাত্রী ও ক্রু আহত হন।এর এক সপ্তাহ পর দোহা থেকে ডাবলিনগামী কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে গুরুতর ঝাঁকুনির জেরে ধাক্কা লেগে ১২ জন আহত হন।গত জুলাইয়ে ব্রাজিলে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের কারণে জরুরি অবতরণ করলে অন্তত ৪০ জন যাত্রী আহত হন।যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ডের ২০২১ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিমানে এই ঝাঁকুনি, কম্পনের ঘটনা সবচেয়ে সাধারণ ধরনের।২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মার্কিন সংস্থাটি দেখতে পেয়েছে যে বিমান দুর্ঘটনার এক তৃতীয়াংশেরও বেশি টারবুলেন্সের কারণে হয়েছিল এবং বেশিরভাগের ফলে এক বা একাধিক গুরুতর আহত হয়েছিলেন, তবে কোনও বিমানের ক্ষতি হয়নি।এদিকে গত মে মাসের ঘটনা। দোহা থেকে আয়ারল্যান্ড যাচ্ছিল বিমানটি। কাতার বিমান সংস্থার বিমান। মাঝ আকাশে এয়ার টার্বুল্যান্স। তার জেরে অন্তত ১২জন যাত্রী আহত হয়েছেন। তবে এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বিমানটি সঠিক সময়েই এসেছে। নিরাপদেই অবতরণ করেছে বিমানটি।ফ্লাইট QR017 ডাবলিনের স্থানীয় সময় অনুসারে দুপুর ১টা নাগাদ ফিরে আসে। এয়ারপোর্ট সূত্রে তেমনটাই জানা গিয়েছে।ডাবলিন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অবতরণ করার পরেই এমার্জেন্সি সার্ভিস তৎপর হয়ে ওঠে। এয়ারপোর্ট পুলিশ, দমকল, সহ একাধিক দফতর ছিল। ৬জন যাত্রী ও ৬জন ক্রু আহত হয়েছিলেন। তুর্কির আকাশের উপর দিয়ে যখন উড়ছিল তখন আচমকাই এই এয়ার টার্বুল্যান্স দেখা দেয়।এর জেরে সাধারণত বিমানে প্রবল ঝাঁকুনি দেখা দেয়। তবে এবারই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার এই ধরনের এয়ার টার্বুল্যান্স হয়েছিল।সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি বিমান লন্ডন থেকে সিঙ্গাপুরের দিকে যাচ্ছিল। তখনই এই ধরনের এয়ার টার্বুল্যান্সের ঘটনা ঘটে। এর জেরে বিমানে ব্যপক ঝাঁকুনি দেখা দেয়। সেই সময় ঝাঁকুনি এমন হয়েছিল যে ৭৩ বছর বয়সি এক ব্রিটিশ নাগরিকের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছিল। ২০জন আহত হয়েছিলেন। তবে বিমানে এই ধরনের টার্বুল্যান্সের মুখে পড়ার বিষয়টি খুব অস্বাভাবিক নয়।