দেবব্রত মোহান্তিবিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করাকে ধর্ষণ বলে গণ্য করা যাবে না, বলে জানিয়েছে ওড়িশা হাইকোর্ট। একজন ১৯ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে একটি যুবকের গ্রেফতারের প্রসঙ্গে নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্তকে বদল করেছে ওড়িশা হাইকোর্ট। আইন অনুযায়ী, একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা যায় যদি এটা প্রমাণ করা যায় যে বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করেছে। কিন্তু বিচারপতি এসকে পানিগ্রাহি বলেন যে ধর্ষণের আইন ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না, বিশেষত যেখানে স্বেচ্ছায় সম্পর্কে জড়িয়েছে মহিলাটি। এই আদেশ দিয়ে অভিযুক্ত অচ্যূত কুমারকে বেল দিয়েছে আদালত যার বিরুদ্ধে একটি মেয়েকে ২০১৯ সালে কোরাপুটে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। মহিলার দাবি যে সে দুই বার প্রেগন্যান্ট হয়ে যায় কুমারের জন্য। তারপর কুমারের দেওয়া ওষুধ খেয়ে তার গর্ভপাত হয়। পুলিশে অভিযোগ করে মহিলা। এরপর কুমারকে গ্রেফতার করা হয়। নিম্ন আদালতে তার বেলের আর্জি খারিজ হয়ে যায়। হাইকোর্ট জানায় যে অনেক সময়েই এরকম অভিযোগ আসে সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণি থেকে যেখানে অনেক সময়ই বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করে পুরুষরা ও পরে গর্ভবতী মহিলাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়। বিচারপতি পানিগ্রাহি বলেন, ‘ আইন এই সমস্যার সঠিক সমাধান দিতে পারেনা। আইন এটা বলে যে বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসে রাজি করালে সেটাকে বৈধ সম্মতি বলে মানা হবে না।যেহেতু আইনের রূপকাররা একটি বিশেষ পরিস্থতি বলে দিয়েছে যেখানে সম্মতি আসলে সম্মতি নয় আইপিসির ৩৭৫ ধারা অনুযায়ী, সেখানে সহবাসের জন্য সম্মতি বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে, সেটা ৩৭৫ ধারার মধ্যে পড়ে না। এই কারণে আইপিসির ৯০ ধারাকে ব্যবহার করে আইপিসির ৩৭৫ এর প্রভাব বার করাটা নিয়ে ভাবনাতচিন্তা প্রয়োজন। বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসকে ধর্ষণ হিসাবে গণ্য করার আইনটি ত্রুটিপূর্ণ বলে মনে হচ্ছে।’তবে এই নির্দিষ্ট কেসটিতে বিস্তারিত শুনানির প্রয়োজন আছে সত্যিটা উদঘাটন করার জন্য ও সেই কারণে ততদিন অভিযুক্তকে জামিন দেওয়া যেতে পারে বলেই আদালতের বিচার।