কংগ্রেসের সঙ্গে শশী থারুরের দূরত্ব নিয়ে জল্পনা চলছে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই। এরই মাঝে এবার সেই জল্পনায় ইন্ধন ঢেলে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা পোস্ট করলেন শশী থারুর। নিজের এহেন এক পোস্টে শশী থারুর লেখেন, 'আজকের দিনের বার্তা - যেখানে অজ্ঞতা সুখ, সেখানে জ্ঞানী হওয়া বোকামি'। এরপর দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে বার্তা দিয়ে শশী থারুর একটি সমীক্ষার প্রসঙ্গে তুলে ধরেন। সেই সমীক্ষায় দাবি করা হয়, কেরল কংগ্রেসের অন্যান্য নেতার থেকে জনপ্রিয়তার নিরিখে এগিয়ে শশী থারুর। সেই প্রসঙ্গে শশী বলেন, 'যদি দল আমাকে ব্যবহার করতে চায়, তাহলে ভালো। না হলে আমার নিজের অনেক কাজ আছে। কারও এটা ভাবা উচিত না যে আমার কাছে অন্য আর কোনও বিকল্প নেই।' (আরও পড়ুন: আমেরিকꦇার সম্মেলনে ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনির মুখে মোদীর নাম, বললেন...)
আরও পড়ুন: ভারতের সাথে সীমান্ত নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত,🐼 'ঘাড় ত্যাꦅড়া' মনোভাব ছাড়ল বাংলাদেশ
আরও পড়ুন: নিজের ভালোর জন্যেই শুল্ক কমানো উচিত ভারতের, বড় মন্তব্য নীতি আয়োগ🌄ের CEO-র
উল্লেখ্য, এর আগে সম্প্রতি একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল যে দলে নিজের ভূমিকা কী হবে, তা নির্দিষ্ট করে দেওয়ার জন্যে রাহুল গান্ধীকে বলেছিলেন শশী। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে নাকি বৈঠক করে বেশ কিছু অভিযোগ জানান শশী। কিন্তু কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী সেসব নিয়ে তেমন কোনও গুরুত্ব দেয়নি বলে সূত্রের খবর। এর জেরে গান্ধীদের সঙ্গে শশী থারুরের দূরত্ব আরও বেড়েছে। এর আগে দলের অন্দরে গান্ধীদের বিরুদ্ধে 'বিদ্রোহ' ঘোষণা করা দলের অন্যতম মুখ ছিলেন শশী থারুর। এরপর দলের সভাপতি নির্বাচনে মল্লিকার্জুন খাড়গের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেছিলেন শশী। তবে তিনি হেরে যান। যদিও এরপরে তাঁকে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে টিকিট দিয়েছিল দল। নিজের আসন ধরেও রেখেছিলেন শশী। তবে এরপরও দলে সেই অর্থে গুরুত্ব বাড়েনি থারুরের। তিনি কোণঠাসাই থেকে গিয়েছেন। (আরও পড়ুন: ইলনের পালটা নির্দে🎶শ কাশের, এবার কি মাস্কের সঙ্গে কি 'সংঘাতে' FBI প🌜্রধান প্যাটেল?)
আরও পড়ুন: এশিয়ার সবচেয়ে ধনী পাঁ𝔉চ পরিবারে ভারতের ২, শীর্ষ ২০-তে আরও ৪ নাম, তাতেও নেই 💙আদানি
আরও পড়ুন: ডিএ ক্ষোভের মাঝে মামলা, সরকারি ক𒅌র্মীদের কাছে মাথা নত রাজ্য সরকারের, ঢুকবে বকেয়া
এদিকে সম্প্রতি আবার নরেন্দ্র মোদীর মার্কিন সফর নিয়ে দলের বিপরীত অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন শশী থারুর। তিনি মোদীর প্রশংসা করে বলেছিলেন, 'সরকার যখন কোনও ভালো কাজ করে তখন তার প্রশংসা করা উচিত। তা সে ক্ষমতায় যেই দলই থাকুক না কেন। আমি নিজে ১৬ বছর ধরে রাজনীতিতে আছি। আমি এই নীতিই অুসরণ করেছি। সরকর খারাপ করলে তখন তার বিরুদ্ধে বলা উচিত। আর আমি যদি সব সময়𝔉ই সরকারের প্রশংসা করতাম, তাহলে আমার কথাকে কেউ গুরুত্ব দেবে না। এবং আমি যদি সবসময় সমালোচনা করি, তাহলেও আমার কথার গুরুত্ব কমে যাবে। গণতন্ত্রে সবসময় দেওয়া-নেওয়ার নীতি থাকতে হৃয়। ওয়াশিংটন একতরফা ভাবে𒁃 আমাদের ওপরে শুল্ক চাপিয়ে দিতে পারত। সেটার জেরে আমাদের রফতানি ক্ষতিগ্রস্ত হত। তবে আমার মনে হয়েছে এই সফরে ভালো কিছু অর্জন করা গিয়েছে। তাই ভারতীয় হিসেবে আমি তা স্বাগত জানাব।' এদিকে শুধু তাই নয়, কেরলে বাম সরকারের উন্ননেরও প্রংসা শোনা গিয়েছিল শশী থারুরের গলায়।