গতকালই কলকাতা হাই কোর্ট সিবিআই-এর হাতে শেখ শাহজাহানকে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকারকে। সেই নির্দেশের পরপরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। তবে সেই মামলায় আপাতত শীর্ষ আদালতেও ধাক্কা খেল রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে এই সংক্রান্ত মামলার পিটিশন দাখিল করেছেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। এর আগে গতকালও সুপ্রিম কোর্টের সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে মৌখিক ভাবে আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। তবে গতকাল সেই মামলা শোনেনি সুপ্রিম কোর্ট। তবে আজ পিটিশন দাখিল করা হয় শীর্ষ আদালতে। তাও সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ সেই মামলা শুনতে চায়নি। এই আবহে আপাতত হাই কোর্টের নির্দেশের ওপর হস্তক্ষেপ করতে চায়নি সুপ্রিম কোর্ট। (আরও পড়ুন: ক💯লকাতার মুকুটে নয়া পালক, দেশে এই প্রথম নদীর তলা দিয়ে মেট্রোর উদ্বোধন মোদী♔র)
আরও পড়ুন: মোদীর 'ꦺসন্দেশখালি ঝড়'-এর আগেই বড় ঘোষণা মমতার, কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
উল্লেখ্য, অভিষেক মনু সিংভির আবেদনের প্রেক্ষিতে সঞ্জীব খান্না জানান, এই ধরনের মামলায় জরুরি শুনানির আবেদন নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি। তবে আজ বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় সাংবিধানিক বেঞ্চের কাজে ব্যস্ত। তাই তাঁর এজলাসে শাহ𓃲জাহান সংক্রান্ত মামলার উল্লেখ করা সম্ভব হয় কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এদিকে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সুপ্রিম কোর্টে বলা হয়েছিল, যেহেতু হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী শাহজাহানকে সিবিআই-এর হাতে সিআইডি তুলে দেয়নি, তাই সিবিআই রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করতে পারে। তবে সেই যুক্তি শুনেও সুপ্রিম বিচারপতি সঞ্জীব খান্না মামলাটি শোনেননি।
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি ইডির ওপরে হামলার মামলায় শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হয়েছে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে। মাঝ💛ের ৫৫ দিন সন্দেশখালির 'বাঘ' নাকি লুকিয়ে ছিলেন রাজ্যেই। এদিকে পুলিশ জানায়, মিনাখাঁ থেকে গ্রেফতার করা হয় শাহজাহানকে। তবে শাহজাহানকে নিয়ে প্রথম থেকেই চরম গোপনীয়তা রক্ষা করে এসেছে পুলিশ। এই আবহে শাহজাহানকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছিল বসিরহাট মহকুমা আদালতের বিচারক। এরপরই প্রায় গ্রিন করিডর করে শাহজাহানকে ভবানী ভবনে নিয়ে আসা হয়। তবে ইডি❀র আবেদনের প্রেক্ষিতে সেই মামলার তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে যায়। তবে হাই কোর্টের নির্দেশের পরেও সিআইডি শাহজাহানকে ছাড়তে নারাজ। এই আবহে গতকাল ভবানী ভবনে গিয়েও খালি হাতে ফিরতে হয় সিবিআই কর্তাদের। এই সবের মাঝেই হাই কোর্টের তরফ থেকে রাজ্যকে তুলোধোনা করে পর্যবেক্ষণ করা হয়, শেখ শাহজাহানকে আড়াল করার চেষ্টা করার চেষ্টা করছে রাজ্য পুলিশ। আর এবার হাই কোর্টের পর সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার।