প্রমোদ গিরিবুধবারের হড়পা বানে কার্যত তছনছ হয়ে গিয়েছে উত্তর সিকিম। এদিকে সেই বিপর্যয়ের জেরে মৃতের সংখ্য়া দাঁড়াল ৫৫তে। আধিকারিকরা নিশ্চিত করেছেন শনিবার পর্যন্ত ২৬টি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সিকিমের মুখ্য়মন্ত্রী প্রেম সিং তামাংয়ের প্রেস সেক্রেটারি বিকাশ বাসনেট জানিয়েছেন, সিকিমের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ২৬টি দেহ মিলেছে। ১৪৩জনের খোঁজ নেই। সব মিলিয়ে ২৫৬৫ জন ক্ষতিগ্রস্ত। ১১৭০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২৪১৩জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। রাজ্য সরকার ২২টি ত্রাণ শিবির খুলেছে। যদি পর্যটকদের এয়ারলিফ্ট করা হয় তবে সবার আগে তাদের গ্যাংটকে নিয়ে যাওয়া হবে। তবে আগে বয়স্কদের নিয়ে যাওয়া হবে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, তিস্তা ও তার শাখানদী থেকে সব মিলিয়ে ২৭টি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার আরও দুটি পাওয়া গিয়েছে। জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং ও কোচবিহার জেলা থেকে আরও দেহ পাওয়া গিয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, এই দুর্যোগে ৮জন সেনা মারা গিয়েছেন।১৪জন এখনও নিখোঁজ। তাঁদের এই আত্মত্যাগ কোনওদিন ভোলার নয়। এদিকে খারাপ আবহাওয়ার জন্য পর্যটকদের উদ্ধারে সমস্যা হচ্ছে। লাচেন আর লাচুং এলাকায় অন্তত ৩০০০ পর্যটক আটকে পড়েছেন। সিকিমের সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ডিপার্টমেন্ট জানিয়ছে, হিমবাহ সহ বিরাট একটা শিলা লেকের উপর গিয়ে পড়ে। তার জেরে গোমা চ্যানেল দিয়ে বিশাল জল বইতে থাকে। এরপর লাচেন নদীতে জল বেড়ে যায়। সেটা তিস্তারই শাখা নদী। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অজয় কুমার মিশ্র বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। মঙ্গনের জেলাশাসক এইচ কে ছেত্রী হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, নাগা ও তুংয়ের মধ্যে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সিকিম পরিবহণের জেনারেল ম্যানেজার ভূপেন্দ্র ছেত্রী জানিয়েছেন, শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটকে ৮টি বাস পাঠানো হয়েছে আটকে থাকাদের ফিরিয়ে আনতে। সিকিম মনিপালের এক ছাত্রী মিনাক্ষী চৌধুরী বলেন, আমাদের ইনস্টিটিউটের কাছে অনেক বাড়ি জলে ভেসে গিয়েছে। ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে সিকিমে।