দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদীর সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বন্ধ হয়েছে গরুপাচার। ꧂আর তাতেই সীমান্তের ওপারের বাংলাদেশে গত ১০ বছর ধরে ধীরে ধীরে আকাশ ছুঁয়েছে গরুর মাংসের দাম। শনিবার সেদেশের অন্যতম জনপ্রিয় দৈনিক প্রথম আলোর ডিজিটাল সংস্করণের প্রতিবেদনের শিরোনামে লেখা হয়েছে, ‘১০ বছরে গরুর মাংসের দাম বেড়েছে ১৫০%’। প্রতিবেদনে স্বীকার করা হয়েছে ভারত থেকে গরু ‘আমদানি’ বন্ধ হওয়ায় যে ঘাটতি তৈরি হয়েছিল তা ১০ বছরেও পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। যার ফলে ২০১৪ সালে ৩০০ বাংলা টাকা কেজ𝕴ি গরুর মাংস ২০২৪ সালে বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ – ৭৮০ বাংলা টাকা দরে। যার জেরে মাংস কেনা বয়কট করেছেন সেদেশের ক্রেতাদের একাংশ।
প্রতিবেদনে স্পষ্ট স্বীকার করা হয়েছে, হাসিনা সরকার খাতায় কলমে মাংস উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বনির্ভর বলে দাবি করলেও আসল চিত্রটা আলাদা। প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার আগে ভারত থেকে প্র♈তি বছর বাংলাদেশে ২০ লক্ষ গরু ‘আমদানি’ হত। ভারত থেকে গরু যাওয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর মাংস উৎপাদনে স্বনির্ভর হওয়ার প্রকল্প নেয় সেদেশের প্রাণীসম্পদ দফতর। কিন্তু ১০ বছরে ২০ লক্ষের মধ্যে মাত্র ১৩ লক্ষ গরুর ঘাটতি পূরণ করতে পেরেছে তারা। উলটে এই সময়ে সেদেশে মাংসের চাহিদা বেড়ে গꦜিয়েছে। যার ফলে লাফিয়ে বেড়েছে দাম।
প্রতিবেদনটিতে পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানানো হয়েছে, ২০১৪ সালে ঢাকা শহরে ৩০০ বাংলা টাকা কেজি মাংস বিক্রি হত। ২০১৫ সালে তা বেড়ে হয় কেজি প্রতি ৪০০ বাংলা টাকা। ২০২১ সালে দাম পৌঁছয় কেজি প্রতি ৬০০ বাংলা টাকায়। আর ২০২৪ সালের রমজান মাসে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় ৭৫০ –♒ ৭৮০ বাংলা টাকা কেজি দরে মাংস বিক্রি হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ন্যায্য মূল্যে মাংস বিক্রি শুরু করেছে হাসিনা সরকার। কিন্তু ꩵতাতে বাজারে তেমন কোনও প্রভাব পড়েনি।
রমজান মাসের শুরুতে খলিলুর রহমান নামে এক মাংস ব্যবসায়ী ৫৯৫ বাংলা টাকা কেজি দরে মাংস বিক্রি করবেন বলে ঘোষণা করেন। কিন্তু কয়েকদিন ওই দামে মাংস বিক্রির পর তিনি জানান তাঁর লোকসান হচ্ছে। সরকারের কাছে তিনি আবেদন করেন, দেশের গরুর চাহিদা মেটাতে ১০ দিনের জন্য ভারত সীমান্ত খুলে দিক বাংলাদেশ সরকার। 🧜ওদিকে মাংসের দামে হিমসিম খেয়ে মাংস বয়কটের ডাক দিয়েছে সেদেশের ক্রেতাদের একাংশ। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে অস্থিরতার আরেক নাম মাংসের দাম।