দেশের নানা প্রান্তে গড়ে উঠবে ১২টি শিল্পনগরী। এই শিল্পনগরী গড়ে তোলার জন্য ২৮ হাজার কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু এক্ষেত্রেও বঞ্চিত হল বাংলা। কেন্দ্রীꦅয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। ন্যাশনাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম অনুযায়ী ১০টি রাজ্যে ছ’টি শিল্প করিডর নির্মাণ করা হবে। মোট শিল্পনগরী হবে ১২টি। অর্থাৎ ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্মার্ট সিটি। বিজেপি শাসিত রাজ্যের নাম থাকলেও বাংল꧙া সেখানে জায়গা পেল না। অথচ বাংলা থেকে বিজেপির ১২ জন সাংসদ রয়েছে।
এই নতুন শিল্পনগরীগুলি গড়ে উঠবে উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব, মহারাষ্ট্র, কেরল,উত্তরপ্রদেশ অন্তর্গত আগ্রা ও প্রয়াগরাজ, তেলঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং রাজস্থান। বিহারের গয়াতেও হবে শিল্পনগরী। প্রতিবেশী রাজ্য বাংলার আসানসোলের ভাগ্যে তেমন কিছু জুটল না। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, দেশকে শিল্পসমৃদ্ধ করে তুলতে ন্যাশনাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর ডেভেলপমেন্ট প💜্রজেক্টে স্মার্ট শিল্পনগরী নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র। এতে আনুমানিক মোট ২৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। সেখানে প্রায় ১২ লক্ষ মানুষ সরাসরি কাজ পাবেন। পরোক্ষ কর্মসংস্থান হবে ২০ লক্ষের কাছাকাছি।
আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানে তাণ্ডবের অভিযোগে গ্রেফতার যুবক–তরুণী, দেবাশিসের চোখে আঘাতের জের
গত ১০ বছরে মোদী সরকারের জমানায় উন্নয়ন যজ্ঞে জায়গা হয়নি বিরোধী শাসিত রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের। তৃতীয় এনডিএ সরকার আসার পর প্রথম বাজেটেও একই অবস্থান দেখা গিয়েছিল। এমনকী তারপর প্রত্যেকটি মন্ত্রিসভার বৈঠকে একের পর এক সিদ্ধান্তে দেশের নানা প্রান্তে বহু উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া হলেও বাংলা বঞ্চিতই থেকেছে। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বাংলাকে সব ক্ষেত্রেই বঞ্চিত করছে। ওরা আসলে বাংলা বিরোধী। তাই হয়তো তালিকায় বাংলাকে রাখা হয়নি। এতকিছুর পরও বাংলা শিল্পে দ্রুত এগোচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে রাজ্যের দিকে দিকে শিল্পের প্রসার ঘটছে। তবে🦋 বাংলা শিল্পক্ষেত্রে এগিয়ে যাক সেটা কেন্দ্র একদমই চায় না।’
আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে এই ১২টি শিল্পনগরীতে অন্তত ২ লক্ষ কোটি টাকার লগ্নি আসতে চলেছে। এই প্রকল্পে মাল্টি মডেল কানেকটিভিটি, পরিকাঠামো, পণ্য পরিবহণ, পরিষেবা সেক্টরকে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। এই লক্ষ্য পূরণে আগে থেকেই সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকꦰারের সঙ্গে কথা বলে এমন ব্যবস্থা করা হচ্ছে যাতে ওই বিশেষ শিল্পনগরীতে জমি চিহ্নিতকরণ হবে। কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের বক্তব্য, এই প্রকল্প চালু হওয়ার পর ১০ লক্ষ সরাসরি কর্মসংস্থান হবে। পরোক্ষ কর্মংস্থান হবে প্রায় ৩০ লক্ষ। এই উন্নয়নযজ্ঞে স্থান পায়নি বাংলা। ভারী শিল্পসংস্থা ছাড়াও ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের কারখানা থাকবে। এটা সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব হবে। থাকবে অত্যাধুনিক মানের রাস্তা, জল ও বিদ্যুৎ।