ঐতিহ্যবাহী পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের নিরাপত্তা আরও বাড়তে চলেছে। এর জন্য গঠন করা হবে একটি স্পেশাল সিকিউরিটি ব্যাটেলিয়ান (এসএসবি) । ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক সোমবার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ব্যাটালিয়ন গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন। ম🦩ূলত মন্দিরে আগত দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা প্রদান, ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য এই স্পেশাল সিকিউরিটি ব্যাটালিয়ন গঠন করা হচ্ছে। এর ফলে দর্শনার্থীরা আরও নিরাপদে মন্দির দর্শন করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: বিফ খেয়ে পুরীর মন্দিরে প্রবেশ করেন 💟জনপ্রিয় ইউটিউবার? বিতর্ক উসকাতেই কী বললেন?
১২ শতকে তৈরি ﷽এই মন্দিরে প্রতিদিন ৫০,০০০ ভক্তের ভিড় হয়। সপ্তাহান্তে এবং গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সেই ভিড় প্রায় দুই থেকে তিন গুণ হয়ে যায়। এই অবস্থায় মন্দিরের দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা এবং ভিড় নিয়ন্ত্রণ খুবই প্রয়োজন হয়ে পড়ে। সেই কারণে এই ব্যাটেলিয়ান তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন হেরিটেজ করিডর প্রকল্প চালু হয়ে গেলে ভক্তদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পুলিশের এডিজি (সেন্ট্রাল রেঞ্জ) আশিস সিং জানিয়েছেন, নতুন ব্যাটালিয়নের প্রাথমিক দায়িত্ব হবে মন্দিরের নিরাপত্তা দেওয়া। এছাড়া, সুশৃঙ্খল ও সুষ্ঠুভাবে দর্শন নিশ্চিত করার জন্য ভিড় নিয়ন্ত্রণে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এই বাহিনীকে। তিনি জানিয়েছেন, এই ব্যাটালিয়নে প্রায় ১,১৯০ জন থাকবে। পুরীর পুলিশ সুপারের অধীনে তারা কাজ করবে। উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক প্রস্তাবটি অনুমোদন করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে জানানো হয়েছে, নতুন ব্যাটালিয়নের প্রাথমিক দায়িত্ব থাকবে মন্দিরের নিরাপত্তা প্রদান করা এবং ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা।কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৭ জানুয়ারি থেকে শ্রী মন্দিরা পরিক্রমা প্রকল্প (এসএমপিপি) চালু হয়ে গেলে মন্দিরে প্রতিদিনের ভক্তদের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। এই প্রকল্পের জন্য ৯৪৩ কোটি খরচ করা হবে। ভক্তদের জন্য থাকবে বিশেষ সুবিধা, ব্যাগেজ স্ক্রীনিং সুবিধা, সমস্ত আ𒀰ধুনিক সুযোগ-সুবিধা সহ একটি আধুনিক তীর্থযাত্রী কেন্দ্রে পরিণত হবে। প্রায় ৪ হাজার পরিবারের জিনিসপত্র রাখার জন্য ক্লোকরুম, পানীয় জল, টয়লেট সুবি๊ধা এবং হাত–পা ধোয়ার সুবিধা থাকবে।