ভারতে কমছে না জনসংখ্যার বয়স। বরং গত ১৫ বছরে দেশে শতাংশের বিচারে ১৫ ꦑবছরে﷽র নীচে জনসংখ্যা অনেকটা কমেছে। অর্থাৎ বয়স বাড়ছে জনসংখ্যার। এমনই ইঙ্গিত মিলল জাতীয় পরিবার এবং স্বাস্থ্য সমীক্ষায়।
গত বুধবার জাতীয় পরিবার এবং স্বাস্থ্য সমীক্ষার পঞ্চম পর্যায়ের যে প্রাথমিক তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে যে ২০১৯-২১ সালে ভারতে ১৫ বছরের নীচে জনসংখ্যার হার ঠেকেছে ২৬.৫ শতাংশে। ২০০৫-০৬ সালের জাতীয় পরিবার এবং স্বাস্থ্য সমীক্ষায় সেই হার ৩৪.৯ শতাংশ ছিল। যদিও এখনও ভারতীয়দের গড় বয়স অ♑নেকটাই কম। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, এখনও যথেষ্ট ⛦‘যুবক’ দেশ ভারত। সেই সময় ভারতের গড় বয়স ছিল ২৪।
সেই পরিস্থিতিতে ভারতের নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে বড়সড় পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিষয়টি নিয়ে সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চের সভাপতি যামিনী আইয়ার জানান, দেশের জনসংখ্যার বয়স বৃদ্ধি পাওয়ার পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট যে বর্তমানে মহিলাদের স্বাস্থ্যের দিকে আরও বেশি নজর দিতে হবে। শুধুমাত্▨র তাঁদের মাতৃত্বকালীন স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিলেই চলবে না। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আগের থেকে ২০১৯-২১ সালে বেশি মহিলা ১০ বছর স্কুলে পড়েছেন এবং শ্রমক্ষেত্রে মহিলাদের অংশগ্রহণের হার কমে যাওয়ার বিষয়টি ভারতের শ্রম বাজারে গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোগত চ্যালেঞ্জের ইঙ্গিত দিচ্ছে। যদি ভারতকে এগিয়ে যেতে হয়, তাহলে সেই বিষয়গুলির অবলিম্বে সমাধান ক𝕴রতে হবে।’
উল্লেখ্য, সেই তথ্য ‘স্যাম্পেল সার্ভে’-র (সমীক্ষা) ভিত্তিতে উঠে এসেছে। যে সমীক্ষা ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে করা হয়েছিল। দেশের ৭০৭ টি জেলার ৬৫০,০০০ জন বাড়িতে চালানো হয়েছিল সেই সমীক্ষা। দ্বিতীয় দফায় অরুণাচল প্রদেশ, চণ্ডীগড়, ছ𒉰ত্তিশগড়, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি, ওড়িশা, পুদুচেরি, পঞ্জাব, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, উত্তরাখণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশে সমীক্ষা হয়েছিল। তাই বৃহত্তর জনসꦦংখ্যার ক্ষেত্রে আদৌও সেই তথ্য প্রয়োজ্য কিনা, তা আদমশুমারির পরেই স্পষ্ট হবে।