ভরতুকির খরচে রাশ টানার পথে গেলেন নির্মলা সীতারামন। খাদ্য, সার, এলপিজি ও কেরোসিন তেলের ওপর সরকার যে ভরতুকি দেয়, সেটা ৪৩ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করা আছে বাজেটে। চলতি বছর এই খাতে ৫.৯৬ লাখ কোটি টাকা খরচ হলেও আগামী বছর ৩.৩৬ লাখ কোটি খরচ করতে চাইছে সরকার। এই বছর মূলত খরচ বেড়েছে করোনাকালে আশি কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়ার ফলে। আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পের আওতায় এপ্রিল থেকে নভেম্বরের মধ্যে পাঁচ কেজি অতিরিক্ত খাদ্যশস্য রেশন দোকানের দ্বারা বণ্টন করা হয়েছিল আশি কোটি মানুষের মধ্যে। ফেব্রুয়ারিতে ২০২০-তে ২.২৭ লাখ কোটি টাকা ভরতুকি খাতে খরচ করার হিসেব দিয়েছিল সরকার কিন্তু বাজেটে যে সংশোধিত হিসেব দেওয়া হয়েছে, তাতে মোট ৫৯৬ লাখ কোটি খরচ করেছে সরকার। অর্থমন্ত্রীর কথায় তাঁরা শুধু খরচা, খরচা ও খরচা করার পথে গিয়েছিলেন সাধারণ মানুষের আর্থিক দুর্দশার নিরসনে। এর জেরে আর্থিক ঘাটতি গিয়ে হয়েছে জিডিপি-র ৯.৫ শতাংশ যেটা সাড়ে তিন শতাংশ করার লক্ষ্য থাকে সরকারের। আগামী অর্থবর্ষে তাই খরচের ওপর কিছুটা রাশ টানতে চাইছে সরকার। এর মধ্যে অন্যতম হল খাদ্য ভরতুকির খরচ কমানো। ৪.২২ লাখ কোটি থেকে সেটা ২.৪২ লাখ কোটি করতে চায় সরকার। একই ভাবে কাটছাঁট করা হচ্ছে সার ও পেট্রোলিয়াম ভরতুকির ওপর।