কমেছে করোনাভাইরাসের দাপট। ক্রমশ নিম্নমুখী সংক্রমণ। সেই পরিস্থিতিতে রবিবার 'করোনা কার্ফু' তুলে নেওয়া হচ্ছে। এমনটাই জানালেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। আগামিকাল (২৭ জুন) থেকেই তা কার্যকর হতে চলেছে। শনিবার টুইটারে শিবরাজ দাবি করেছেন, শনিবার রাজ্যের ৩৫ টি জেলায় কোনও করোনা আক্রান্তের হদিশ মেলেনি। সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ১,০০০-এর নীচে নেমে গিয়েছে। সংক্রমণের হার ০.০৬ শতাংশে ঠেকেছে। সেই পরিস্থিতিতে রবিবারও লকডাউনের মতো বিধিনিষেধ বা 'করোনা কার্ফু' চালিয়ে যাওয়ার কোনও অর্থ নেই। তাই মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জানান, অবিলম্বে রবিবারের 'করোনা কার্ফু' বা লকডাউন তুলে নেওয়া হচ্ছে। যাঁরা দোকান খুলতে চান এবং নিজেদের অর্থনৈতিক কাজকর্ম চালিয়ে যেতে যান, তাঁরা করোনাভাইরাস বিধি মেনে সেই কাজ করতে পারবেন। তবে রাজ্যে নাইট কার্ফু বা রাত্রিকালীন কার্ফু চলবে। মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, শনিবার রাজ্যে ৪৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৮৯,৬৫৭। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবমিলিয়ে রাজ্যে প্রাণহানির সংখ্যা ঠেকেছে ৮,৮৯৬। সেইসঙ্গে টিকাকরণের ক্ষেত্রেও শনিবার রেকর্ড তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেছেন শিবরাজ। তিনি বলেন, ‘শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত করোনা টিকার ৯৬৪,৭৫৬ ডোজ প্রদান করা হয়েছে। তার ফলে আবারও রেকর্ড তৈরি হয়েছে।’তারইমধ্যে দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এবং করোনা টিকাকরণের অগ্রগতি নিয়ে শনিবার কেন্দ্রের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তিনি জানান, কোনও এলাকায় সংক্রমণ রুখতে নমুনা পরীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র। তাই কোনওমতেই নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কমানো যাবে না। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, শনিবারের বৈঠকে আধিকারিকরা মোদীকে জানান যে গত ছ'দিনে দেশে ৩.৭৭ কোটি মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। যা মালয়েশিয়া, সৌদি আরব এবং কানাডার মতো দেশের জনসংখ্যার থেকেও বেশি। আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে দেশের ১২৮ টি জেলায় ৫০ শতাংশের বেশি ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে নাগরিকদের টিকাকরণ হয়েছে। ১৬ টি জেলায় সেই হার ৯০ শতাংশেরও বেশি। ক্রমবর্ধমান টিকাকরণের হারের প্রশংসা করেছেন মোদী। সেইসঙ্গে আধিকারিকরা মোদীকে জানিয়েছেন, টিকা নিয়ে যাতে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়, সেজন্য উদ্ভাবনী পন্থা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকেও অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন মোদী।