মিউচুয়াল ফান্ড এবং রিয়েল এস্টেট। এর মধ্যে কোনটিতে বিনিয়োগ করলে আপনার বেশি লাভ হবে? দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনেকেই ইদানিং এই প্রশ্নটি করছেন। ভারতের মতো দেশে অনেকেই রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ পছন্দ করেন। দীর্ঘ মেয়াদে রিয়েল এস্টেট একটি ভাল বিনিয়োগ অপশন হতে পারে। কিন্তু সকলের পক্ষে তো আর রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ করা সম্ভব হয় না। সময়ের সঙ্গে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের প্রবণতাও বাড়ছে। আরও পড়ুন: ফ্ল্𝓰যাটে-ফ্ল্যাটে ভরে যাচ্ছে কলকাতা! ২০২৩-এ সম্পূর্ণ হবে ৩৬ হাজারেরও বেশিဣ আবাসন
রিয🌼়েল এস্টেট বিশেষজ্ঞ গুরমিত সিং অরোরার মতে, রিয়েল এস্টেটে উল্লেখযোগ্য প্রাথমিক বিনিয়োগ করতে হয়। এর পাশাপাশি ক্রমাগত রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেরামতের ❀খরচ জড়িত। বাজার পরিবর্তন এবং অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবও পড়তে পারে। তাছাড়া ভারতে জমি কিনে সেটির দখল বজায় রাখাও একটি কঠিন বিষয়।
রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগে কীভাবে সবচেয়ে বেশি লাভ হয়?
ধরুন আপনি জানেন, কোনও একটি স্থানে আগামী ৪-৫ বছরের মধ্যে মেট্রো ট্রেন চলাচল চালু হতে পারে। অথবা কোথাও নিকটেই আইটি পার্ক গড়ে উঠবে। এমন স্থানে জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট কিনে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ। উদাহরণস্বরূপ, আজ থেকে ১০ বছর আগে যাঁরা পশ্চিমবঙ্গে রাজারহাট বা নিউ গড়িয়ায় সম্পত্তি কিনেছিলেন, আজ𒁏 তাঁরা সেটি বিক্রি করলে বেশ উল্লেখযোগ্য মুনাফা পাবেন।
অ🥂ন্যদিকে সঠিক মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগে দুর্দান্ত রিটার্ন পেতে পারেন। শুধু তাই নয়, কর ছাড়ের সুবিধাও পাবেন। তবে এক্ষেত্রেও মূলধন লাভের উপর কর দিতে হবে। এমনটাই বলছেন🐭 RPS গ্রুপের সুরেন গোয়েল।
গোয়েল গঙ্গা গ্রুপের পরিচালক গুঞ্জন গোয়েলের মতে, রিয়েল এস্টেট একটি বাস্তব সম্পদ। অর্থাত্, এটি স্পর্শ করা যায়, দেখা যা🎉য় এবং এতে বসবাস করা যায়। এতে সাধারণ মানুষ একটি নিরাপত্তার অনুভূতি পান। ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক উভয় উদ্দেশ্যেই এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
অন্যদিকে মিউচুয়াল ফান্ড হল একটি কাগজী আর্থিক সম্পদ। এর মধ্যস্থ স্টকের কার্যক্ষমতার উপর নিඣর্ভরশীল। রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগের মাধ্যমে মোট পোর্টফোলিও-র ঝুঁকি ও অস্থিরতা কিছুটা হ্রাস করা যেতে পারে। মিউচুয়াল ফান্ডও একইভাবে পোর্টফোলিও আরও বৈচিত্র্যময় করে তুলতে পারে। কিন্তু, বাজারের মন্দার সময় আর্থিক সুরক্ষা থাকে না।
রিয়েল এস্টেটের একটি বড় সুবিধা হল, এর থেকে ভাড়াবাবদ আয়ে🎃রও অতিরিক্ত সুবিধা রয়েছে। ফলে বিনিয়োগের পর থেকেই কিছুটা ক্যাশ ফ্লো আসতে শুরু করে দেয়। অন্যদিকে মিউচুয়াল ফান্ডে লভ্যাংশ এবং মূলধন লাভের মাধ্যমে আয় হয়। এটি অস্থির এবং আগে থেকে বলা যায় না। এমনটাই বলছেন ব্ল্যাকটেক রিয়েলটির ডিরেক্টর মৃণাল মিত্তাল।
তাই মিউচুয়াল ফান্ড-ই হোক বা রিয়েল এস্টেট, বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে, বিনিয়োগকারীদের তাঁদের ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা এবং আর্থিক লক্ষ্যমাত্রা বিবেচনা করা প্রয়োজন। আরও পড়ুন: ২৯০ টাকার এই শেয়ারে🍰ই ভরসা রেখা ঝুনঝুনওয়ালার, আপনার কেনা𓄧 ঠিক হবে?
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক