কোভিড টিকার জেরে একাধিক স্বাস্থ্যের ঝুঁকি দেখা গিয়েছিল যারা এই টিকা নিচ্ছেন তাদের শরীরে দেখা গিয়েছিল। নানা সমস্যা। সম্প্রতি এই মর্মে একটি পিটিশন দায়ের করা হয় দেশের শীর্ষ কোর্টে। সেই পিটিশনই এবার খারিজ করে দিল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। পিটিশন খারিজ করে একাধিক প্রশ্নও তোলা হয়েছে। সোমব💝ার প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে এই মামলা ওঠে। সেখানেই খারিজ করে দেওয়া হয় পিটিশন। সঙ্গে এও বলা হয়, গিমিক তৈরি করতে এই পিটিশন করা হয়েছে।
কোভিড টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে বহুদিন ধরেই প্রশ্ন উঠছিল। টিকা যখন ভারতের বাজারে প্রথম আসে, তখন থেকেই এর কার্যকারিতা প্রশ্নের মুখে। টিকা নেওয়ার পর বেশ কিছু রোগীর মৃত্যু হয়। সেই মৃত্যুগুলিকেও টিকার কারণে মৃত্যু বলে অভিযোগ তুলেছিল তাদের পরিবার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত টিকা প্রদান বꦐন্ধ হয়নি, ব্যাপক মাত্রায় দেওয়া হয়। তবে সম্প্রতি টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছিল ব্রিটিশ সংস্থা অ্যাস্ট্রোজেনেকা। ব্রিটেনের একটি কোর্টে এই টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। তখন সংস্থা জানায়, এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হল রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া বা ব্লাড ক্লটিং।
(আরও পড়ুন: করোনার কারণে কমে গিয়েছে গড় আয়ু, রিপোর্ট প্রওকাশ করল WHO)
প্রসঙ্গত, অ্যাস𒆙্ট্রোজেনেকা ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে তৈরি টিকা নিয়েই এই রিপোর্ট জমা দিয়েছিল সংস্থা। আবার এই টিকার ফর্মুলা নিয়েই ভারতীয় সংস্থা সিরাম তৈরি করে কোভিশিল্ড। কোভিশিল্ড টিকা ভারতে দেওয়ার সময় এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে দীর্ঘ সময় বিতর্ক হয়। তার ꦰপরেও গোটা দেশ জুড়ে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের উদ্যোগে এই টিকা দেওয়া হয়েছিল।
(আরও পড়ুন: করোনা ভ্যাকসিনই কি হার্ট অ্যাটাক বাড়িয়ে দিয়েছে? এবার স্ꦑপষ্ট করলেন চিকিৎসক দেবী শেট্টি)
অ্যাস্ট্রোজেনেকা ব্রিটেনের কোর্টে এই স্বীকারোক্তি দেওয়ার পর ফের বিতর্ক হয়। সারা বিশ্ব জুড়েই শুরু হয় সমালোচনা। ভারতেও সেই নিয়েই বিতর্ক শুরু হয়। ঘটনাচক্রে সোমবার খারিজ হয়ে যাওয়া পিটিশনটি সে সূত্রেই দাখিল করা হয়েছিল। তবে সেই পিটিশনই খারিজ করে দিল প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বে♓ঞ্চ। প্রশ্ন তোলা হয়, যদি টিকা না দেওয়া হত, তাহলে বিকল্প কোনও উপায় কি ছিল?