দিল্লি হাইকোর্টের রায় বহাল রাখল সুপ﷽্রিম কোর্ট। নির্ভয়াকাণ্ডের অন্যতম দোষী পবন কুমার ঘটনার সময় নাবালক ছিল বলে যে আর্জি জানিয়েছিল তা খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন: 'মেয়ের মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে', কাঁদতে কাঁদতে ♉বললেন নির্ভয়💙ার মা
বিচারপতি আর ভানুমতীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, 'দিল্লি হাইকোর্টের রায়ে হ♏স্তক্ষেপ করার কোনও ভিত্তি নেই। সঠিক কারণেই ট্রায়াল কোর্ট ও হাইকোর্ট পবনের আর্জি (ঘট♓নার সময় সে নাবালক ছিল) খারিজ করেছে।'
আরও পড়ুন: নির্ভয়া-দোষীদের ফাঁসির ড্রেস রিহার্সাল হল তিღহাড়ে
দিনের শুরুতে শুনানির সময় পবনের আইনজীবী এ পি সিং দাবি করেন, দোষীর বয়স সংক্রান্ত রিপোর্ট গোপন করেছিল পুলিশ। তিনি বলেন, 'পবনের জন্মতারিখ ৮ অক্টোবর, ১৯৯৭। এই রিপোর্ট সামনে আনেনি দিল্লি পুলিশ। এটা বড়সড় ষড়যন্ত্র♊।' নিজের দাবির স্বপক্ষে আদালতে পবনের স্কুল সার্টিফিকেটও শীর্ষ আদালতে দেন পবনꦫের আইনজীবী।
আরও পড়ুন : নির্ভয়া কাণ্ড💞ের সাত বছর- ফাঁসুড়ে হতে চেয়ে বিদেশ থেকে চিঠি তিহাড়ে
যদিও সেই সার্টিফিকেট অবশ্য গ্রহণ♏ করেনি শীর্ষ আদালত। কেন নেওয়া হচ্ছে না, তা ব্যাখ্যা করে ডিভিশন বেঞ্চ। ২০১৭ সালে সেই সার্টিফিকেটগুলি দেওয়া হয়েছিল। তার অনেক আগেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছে পবন। বিচারপতি অশোক ভূষণ বলেন, 'রিভিউ পিটিশনে পবনের বয়সের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে উঠেছিল। তা খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল। নতুন তথ্যের ভিত্তিতে আপনি কি নতুন আবেদন জানাতেই থাকবেন?'
আরও পড়ুন : তৈরি তিহাড়, নির্ভয়ার ৪ ধর্ষকের ফাঁসির দায়িত্বে মীরাটের ফাঁဣসুড়ে
অন্যদিকে দিল্লি পুলিশের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা দাবি করেন,𒊎 'বিচারব্যবস্থার প্রতিটি ধাপে পবনের নাবালক তত্ত্বের বিষয়টি বিবেচনা করা হয়েছে। যদি দোষী বারবার (ঘটনার সময়) নাবালক হওয়ার দাবি করেন তাহলে তা আইনের বিরোধী হবে।'
আরও পড়ুন : 'ইন্দিরা জয়সিংয়ের মতো লোক⛦ের জন্য ধর্ষণ হয়', কড়া জবাব নির্ভয়ার মা
দু'পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর দুপুর তিনটে নাগা রায়দান করে ডিভিশন বেঞ্চ। রায়ে বলা হয়🃏, 'জুভেনাইল জাস্টিস আইনের আওতায় বয়স নিয়ে কোনও বিষয় তুলে ধরার সুযোগ রয়েছে দোষীর। কিন্তু তা বারবার আনা যাবে না।'
আরও পড়ুন: ফাঁসির জন্যই এবার অপেক্ষা, জানালেন নির্ভয়ার মা
রায়ের পর নির্ভয়ার মা বলেন, 𒈔'ফাঁসি দেরি করার পন্থা খারিজ করে গিয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি ফাঁসি হলে তবেই আমি সন্তুষ্ট হব। একের পর পর যেভাবে ওরা ফাঁসি দেরি করাচ্ছে, ওদের একের পর এক ফাঁসি দেওয়া উচিত। তাহলে ওরা বুঝতে পারবে আইনের সঙ্গে খেলা করার অর্থ কী।'