দিল্লির বায়ু দূষণ কমাতে কাজের কাজ কিছুই হচꦗ্ছে না। শুনতে তেতো লাগলেও, এটাই সত্যি। বৃহস্পতিবার নিজের পর্যবেক্ষণে এমনটাই জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের আরও বক্তব্য, বায়ু দূষণ রোধ করতে সংশ্লিꦚষ্ট যে কমিশন (কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট বা সংক্ষেপে সিএকিউএম) তৈরি করা হয়েছে, তারা বেশ কিছু পদক্ষেপ করার কথা বললেও 𝔍কেউই সেসব মানছেন না। তার থেকেও দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হল, যাঁরা আইন ভঙ্গ করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়েও কারও তেমন আগ্রহ নেই।
এদিন, শীর্ষ আদালতের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের অন্যতম সদস্য বিচারপতি এ এস ওকা বলেন, 'সকলেই জানেন, একমাত্র আলোচনা ছাড়া কিছুই হচ্ছে না। এটাই কঠোর বাস্তব।' এই বেঞ্চের অপর সদস্য হিসাবে ছিলেন বিচারপতি এ জি 🧔মাসিহ।
গত সপ্তাহেই সিএকিউএম-কে এই বিষয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তাতে বলা হয়েছিল, দিল্লিতে বায়ু দূষণের অন্যতম প্রধান কারণ হিসাবে চিহ্নিত, কৃষকদের দ্বারা ব্যাপক হারে খড় (ফসল কাটার পর গাছের বাকি অংশ) পোড়া♑নোর প্রক্রিয়াটি বাগে আনতে সিএকিউএম এখনও পর্যন্ত কী কী পদক্ষেপ কর♚েছে, তা বিস্তারিতভাবে জানাতে হবে।
এর জবাব♏ে অ্য়াডিশ꧃নার সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটি আদালতকে যা জানান, তা থেকে সামনে আসে, গত ন'মাসে মাত্র তিনবার আলোচনার টেবিলে বসেছেন সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্যরা। এবং তিনটি বৈঠকের একটিতেও একবারের জন্য খড় পোড়ানোর ফলে দূষণ বাড়ার বিষয়টি নিয়ে কোনও কথা হয়নি।
এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি ওকা🎶 বলেন, 'শেষবার বৈঠক হয়েছিল গত ২৯ অগাস্ট। সারা সেপ্টেম্বর মাসে একটাও বৈঠক করা হয়নি। আপনি বলছেন, এই কমিটিতে আইপিএস আধিকারিক-সহ অন্যরা রয়েছেন। যাঁরা নাকি সমস্যা মোকাবিলায় নীতি নির্ধারণ করবেন। অথচ, গত ২৯ অগাস্টের পর একবারও বৈঠকে বসেননি কমিটির সদস্যরা। নীতি নির্ধারণ তবে আর কবে করবেন?'
বিচারপতি ওকা আরও বলেন, শুধু মিটিংই হচ্ছে। 'তৃণমূলস্তরে রায় কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা কোথায় নেওয়া হল? যতক্ষণ না এগুলি নিয়ে বিচার প্রক্রিয়া শুর♌ু হবে, ত✱তক্ষণ পর্যন্ত কেউ এ নিয়ে মাথাও ঘামাবে না।'
এর প্রেক্ষিতে সরকারের আইনজীবী জানান, যাঁরা কমিশনের নিয়ম 🔜অমান্য করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। এই জবাবে আদালত অবশ্য মোটেও সন্তুষ্ট হয়নি।
বদলে আদালত স্🌺পষ্ট জানিয়ে দেয়, আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে সবথেকে লঘু ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অথচ, সিএকিউএম আইনের ১৪ নম্বর ধারা এবং পরিবেশ রক্ষা আইনের ১৫ নম্বর ধারায় অনেক বেশি কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নিদান রয়েছে। কিন্তু, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সেই ধারা প্রয়োগই করা হয়নি।
জবাবে সরকার পক্ষের আইনজীবী জানান, যেহেতু দূষণের মাত্রা ক্রমশ কমছে, তাই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ধারা প্রয়োগ করা হয়ন♚ি।
প্রত্য়ুত্তরে আদালত স্পষ্ট বলে, 'আপনার দেওয়া নির্দেশ আপনাকেই কার্যকর করতে হবে। তা🐼র জন্য নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, কর্ম পরিকল্পনা রয়েছে, ভাগে ভাগে আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু, আইনের যথাযথ প্রয়োগ করা হচ্ছে না। ২০২৪ সালেই ফসলের খড় পোড༺়ানোর ১২৯টি অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়েছে। কেন কোনও ক্ষেত্রেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হল না?'
উপরন্তু, অভিযুক্তদের সামান্য পরিমাণ আর্থিক জরিমানা করেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে স্পষ্টতই উꦕষ্𒊎মা প্রকাশ করেছে শীর্ষ আদালত।