'ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যালকোহল' নিয়ে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের মধ্যে সংঘাতে ইতি টানল সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার সংখ্যাগরিষ্ঠতার রায়ে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে যে 'ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যালকোহল'-র (একধরনের ইথানল, শিল্🎶পের কাজে ব্যবহৃত নয়, মানুষ খেতে পারে না) উৎপাদন এবং সরবরাহের উপরে রাজ্যগুলির নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা আছে। অর্থাৎ ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যালকোহল’ নিয়ে রাজ্যগুলি নীতি নির্ধারণ করতে পারবে বলে জানিয়েছে ভা🐻রতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন নয় বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যের হাতে নীতি নির্ধারণের ক্ষমতা থাকার পক্ষে রায় দিয়েছেন ভারতের প্রধান বিচারপতি-সহ আট বিচারপতি। একমাত্র ভিন্ন মত পোষণ করেছেন বিচারপতি বিভি নাগরত্না। স্বভাবতই ৮:১ রায়ে রাজ্যের জয় হয়েছে।
মামলা করেছিল পশ্চিমবঙ্গও
আর সেই রায়ের ফলে নব্বইয়ের দশকে দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের রায় খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। নব্বইয়ের দশকে শীর্ষ আদালতের𒉰 সাত বিচারপতির বেঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছিল, সেটা চ্যালেঞ্জ করে ৩০টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। মূলত সেই পিটিশন দাখিল করেছিল বিভিন্ন রাজ্য। যে তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, পঞ্জাব, উত্তরপ💮্রদেশ, মহারাষ্ট্রের মতো একাধিক রাজ্য ছিল।
২০০৭ সালে ৯ বিচারপতির বেঞ্চে পাঠানো হয়েছিল
রাজ্যগুলির যুক্তি ছিল যে নব্বইয়ে দশকে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া সেই রায়ের ফলে ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যালকোহল’ নিয়ে রাজ্যের হাতে কোনও ক্ষমতা পড়ে নেই। সেইসব পিটিশনের ভিত্তিতে ২০০৭ সালে বিষয়টি নয় বিচার🦄পতির বেঞ্চে পাঠানো হয়েছিল। আর গত মাসে মামলার শুনানি শুরু হয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
প্রধান বিচারপতি-সহ ৮ বিচারপতি এক রায় দেন
বুধবার সংখ্যাগরিষ্ঠতার রায়ে শীর্ষ আদালত বলেছে যে ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যালকোহল’ নিয়ে রাজ্যের নীতি নির্ধারণের ক্ষমতা আছে। সেই ক্ষমতা ছিনিয়ে নিতে পারে না সংসদ। সেই সংখ্যাগরিষ🤪্ঠতার রায় দিয়েছেন ভারতের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়, বিচারপতি হৃষিকেশ রায়, বিচারপতি এএস ওকা, বিচারপতি জেবি পাদ্রিওয়ালা, বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়া, বিচারপতি মনোজ মিশ্র, বিচারপতি এসসি শর্মা এবং বিচারপতি মাসিহা। তাঁদের হয়ে রায় লেখেন ভারতের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়।
পৃথক রায় দেন বিচারপতি নাগরত্না
অন্যদিকে, নিজের পৃথক রায়ে নব্বইয়ে দশকে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পক্ষেই থেকেছেন বিচারপতি নাগরত্না। তিনি জানান, 'ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যালকোহল'-র ক্ষেত্রটি কেন্দ্রীয়ꦜ সরকারের হাতে আছে। যে বিষয়টির ভিত্তিতে ভারতের প্রধান বিচারপতি-সহ আটজন বিচারপতি সেই রায় দিয়েছেন, সেটা নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেন বিচারপতি নাগরত্না।