সরকার-পোষিত স্কুলের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত সন্ন্যাসিনী ও ধর্মযাজকরা যেꦐ বেতন পান, তা আয়করের আওতায় পড়ে। এমনই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। একলপ্তে ৯৩টি আর্জি খারিজ করে দিয়ে ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির (বিচারপতি জেবি পাদ্রিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র) ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে যে আইন প্রত্যেকের জন্যই সমান হয়। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন। আর তাই ‘সম্পত্তির প্রতিজ্ঞা’ নেওয়ার পরেও সরকার-পোষিত খ্রিস্টান মিশনারি স্কুলে কর্মরত সন্ন্যাসিনী এবং ধর্মযাজকদের প্রাপ্ত বেতন থেকে যদি আয়কর দফতর টিডিএস (ট্যাক্স ডিডাকটেড অ্যাট সোর্স) কেটে নেয়, তাতে কোনও ভুল নেই।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানিয়েছেন, সরকার-পোষিত খ্রিস্টান মিশনারি স্কুলগুলিকে যে অর্থ দেওয়া হয়, সেটা বেতন বাবদই দেওয়া♐ হয়। তাই টিডিএস ছাড় দেওয়ার প্রশ্ন ওঠে না। সন্ন্যাসিনী ও ধর্মযাজকদের বেতন প্রদান করা হয়। তাঁরা বলেন যে ‘সম্পত্তির প্রতিজ্ঞা’ নিয়েছেন বলে তাঁদের কাছে বেতন থাকে না✃। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সন্ন্যাসিনী বা ধর্মযাজকের নামে বিল করে থাকে। সেটা নিজেদেরই কোনও প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোনও দাতব্য উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে। কিন্তু সেক্ষেত্রেও টিডিএস কাটতে হবে।
আরও পড়ুন: CJI DY Chandrachud: ‘বাবা বলতেন এই ফ্ল্যাটটা রেখে দিও,’ বিদဣায়বেলায় কারণটা জানালেন CJI চন্দ্রচূড়
মাদ্রাজ হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে আসে মামলা
যে মামলার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট সেই রায় দিয়েছে, তা প্রাথমিকভাবে মাদ্রাজ হাইকোর্টে চলছিল। প🌞্রাথমিকভাবে সন্ন্যাসিনী এবং ধর্মযাজকদের পক্ষে রায় দিয়েছিল মাদ্রাজ হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। সেইসময় হাইকোর্ট জানিয়েছিল, সন্ন্যাসিনী এবং ধর্মযাজকরা বেতন হিসেবে যে টাকা পান, সেটার উপর থেকে টিডিএস কাটা যায় না। কারণ তাঁরা ব্যক্তিগতভাবে সেই টাকা নেন না। টাকা সরাসরি চলে যায় 'ডায়োসিস'-র কাছে।
‘সম্পত্তির প্রতিজ্ঞার পরে নাগরিক জীবনে মৃত্যু হয়েছে বলে ধরা হয়'
যদিও সিঙ্গল বেঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছিল, সেটাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল আয়কর দফতর। ২০১৯ সালে সিঙ্গল বেঞ্চের রায় খারিজ করে দেয় মাদ্রাজ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। যে নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে একগুচ্ছ মিশনারি। সেই মামলার শুনানিতে মিশনারিগুলির তরফে দাবি করা হয় যে ‘সম্পত্তির প্রতিজ্ঞা’-র পরে সন্ন্যাসিনী ও ধর্মযাজকদের নাগরিক জীবনে মৃত্যু হয়েছে বলে ধরা হয়। ত🌠াই তাঁদের কর দেওয়ার দরকার নেই।