উপাচার্য নিয়ে🅠াগ কে করবেন? এই প্রশ্নে রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের দ্বৈরথ অব্যাহত ছিল। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, সুপ্রিম কোর্টে মামলা গড়ায়। সেই মামলায় রাজ্যপালকে কড়া নির্দেশ দিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত। মুখ্যমন্ত্রীর সুপারিশেই উপাচার্য নিয়োগ করতে হবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরও সমস্যা মিটছে না। তাই আবার আগের নির্দেশই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্যকান্ত ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়ার বেঞ্চ। সেখানে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট কমিটি উপাচার্যদের নাম বাছাই করে তালিকা তৈরি করবে। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর সেই তালিকা থেকে নাম চূড়ান্ত করে আচার্যের কাছে পাঠাবে। আর মুখ্যমন্ত্রীর সুপারিশেই উপাচার্যদের নিয়োগ করবেন আচার্য।
এই মামলা যখন সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছেছিল তখন উপাচার্য নিয়োগ করার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত𓂃কে মাথায় রেখে একটি কমিটি গড়ে দিয়েছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। যাতে উপাচার্য নিয়োগ করার ক্ষেত্রে আর কোনও সমস্যা না হয়। কিন্তু তারপরও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে নবান্নের দূরত্ব মেটেনি। এমনকী রাজ্যের প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সাব কমিটি গঠন করার কথাও বলা হয়েছিল। ওই কমিটি তিনজনের নামের প্যানেল সুপারিশ করে পাঠিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাঠান আচার্য তথা রাজ্যপালের কাছে। কিন্ত🌞ু তারপরও নিয়োগ হয়নি।
আরও পড়ুন: ‘এখন ঘুম ভাঙল জাতীয় নির্বাচন কমিশনের?’ এক্স হ্যান্ডেলে তোপ দাগলেন সাকেত গোখলে
স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন এবং প্রশাসনিক কাজ থমকে যাবে। তাই সুপ্রিম কোর্ট স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করার পথ বাতলে দিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়েছিল, আচার্যর কোনও নাম নিয়ে আপত্তি থাকলে সেটা তিনি সরাসরি মুখ𓆉্যমন্ত্রীকে জানাতে পারবেন। সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী চাইলে সেই নাম বদল করে আবার আচার্যের ꩵকাছে পাঠাবেন। সেটা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। আর নাম বাছাই পর্বে কোনও বিবাদ দেখা দিলে সুপ্রিম কোর্ট তার সমাধান করবে। কিন্তু আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস চান, সরাসরি ওই কমিটির কাছ থেকে রাজভবনে নাম আসুক। তবে আজ, সোমবার আবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, আগে যে নির্দেশে ছিল সেটা অপরিবর্তিত থাকছে।