‘দুইয়ের বেশি যাতে সন্তান না হয়’, এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারির আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়। পাশাপাশি এই সংক্রান্ত আরও মামলার আবেদন জমা পড়েছিল শীর্ষ আদালতে। তবে সর্বোচ্চ আদালত শুক্রবার এই সংক্রান্ত যাবতীয় মামলা শুনতে অশ্বীকার করে এবং এই বিষয়ে মন্তব্য করে, ‘এই মামলা শোনার থেকে আরও ভালো কাজ রয়েছে আমাদের হাতে।’ বꦑিচারপতি এসকে কউল এবং এএস ওকার ডিভিশন বেঞ্চ এই আবেদনের প্রেক্ষিতে বলেন, ‘জনসংখ্যার বিষয়টি আচমকা একদিনে বন্ধ করার নয়।’ পাশাপাশি সর্বোচ্চ আদালতের কথাꦕয়, জনসংখ্যার বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের দেখার কথা। এই বিষয়ে আদালত কোনও ভাবে হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানান বিচারপতি।
উল্লেখ্য, অশ্বিনী উপাধ্যায় এই মামলার আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতকে বলেছিলেন, ‘এ বিষয়ে আইন কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া উচিত সুপ্রিম কোর্টের।’ মামলাকারীর কথায়, ‘বিশ্বের মাত্র ২ শতাংশ জমি রয়েছে ভারতে। তবে জনসংখ্যার ২০ শতাংশই এই দেশে।’ উল্লেখ্য, জন্ম নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে ন𓃲ির্দেশিকা জারি করার আবেদন জানিয়ে দিল্লি হাই কোর্টেও মামলা করেছিলেন অশ্বিনী উপাধ্যায়। তবে বিজেপি নেতার সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছিল দিল্লির উচ্চ আদালত। হাই কোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এই আইনজীবী। তবে উচ্চ আদালতের রায় বহাল রেখেই অশ্বিনীর মামলাটি শুনতে অস্বীকার করে সর্বোচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্🐎চ। পাশাপাশি এই সংক্রান্ত আরও যেসব মামলা শীর্ষ আদালতে দায়ের করা হয়েছিল, সেগুলিও শুনবে না বিচারপতি এসকে কউল এবং এএস ওকার ডিভিশন বেঞ্চ। এরপরই অশ্বিনী সহ বাকি মামলাকারীরা তাদের আবেদন প্রত্যাহার করেন।
এই সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি শুরু হতেই আদালত মামলাকারীকে প্রশ্ন করে, ‘জন্ম নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত আইন কীভাবে আনা যায়?’ এর প্রেক্ষিতে আবেদনকারীর আইনজীবী যুক্তি দেয়, সুপ্রিম কোর্ট যেন এই সংক্রান্ত রিপোর্ট তৈরির নির্দেশ দেয় আইন কমিশনকে। এরপর সুপ্রিম কোর্ট পালটা প্রশ্ন করে, জনসংখ্যা সম্পর্কিত রিপোর্ট আইন কমিশন কীভাবে তৈরি করবে। সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ করে, বিষয়টি কেন্দ্রের বিবেচনা করা উচিত কারণ বেশ কয়েকটি সামাজিক এবং পারিবারিক সমস্যা জড়িত 🐼রয়েছে এর সঙ্গে।