জাতির ভিত্তিতে জনগণনা শুর হয়েছে বিহারে। এদিকে বিহার সরকারের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছিল মামলা। তবে সুপ্রিম কোর্ট সেই মামলা শুনতে অস্বীকার করল। আবেদনকারীকে এই নিয়ে হাই কোর্টে যেতে বলল সর্বোচ্চ আদালত। বিচারপতি বিআর গভাই এবং বিচারপতি বিক্রম নাথের বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ করেন, 'যদি এই আবেদন গৃহীত হয়, তাহলে রাজ্য সরকার কীভাবে সংরক্ষণের বিষয়টি নির্ধারণ করবে?' বিতারপতি গভাই বলেন, 'এটা পাবলিসিটি ইন্টারেস্ট লিটিগেশন?' (আরও পড়ুন: ‘পার্টনার সুইস হলে কো🦋নও সমস্যা নেই𒁏’, সমকামী আইনজীবীকে বিচারপতি করা নিয়ে বলল SC কলেজিয়াম)
আবেদনকারীর দাবি ছিল, সংবিধানের সপ্তম তপসিলের প্রথম তালিকার অন্তর্ভুক্ত জনগণনার বিষয়টি। অর্থাৎ, জনগণনার নির্দেশ শুধুমাত🔯্র কেন্দ্রীয় সরকার দিতে পারে এবং এটা রাজ্যের এক্তিয়ারের বাইরে। এদিকে এছাড়া জনগণনা আইন, ১৯৪৮-এর অধীনে শুধুমাত্র কেন্দ্র জনগণনার বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারে। এই কারণে জাত♑িগত জনগণনা নিয়ে বিহার সরকারের বিজ্ঞপ্তি খারিজ করার দাবি জানিয়েছিলেন। এর আগে ২০১০ সালে কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইউপিএ সরকার জাতীয় স্তরে এই জাতিভিত্তিক গণনায় রাজি হয়েছিল। তবে কেন্দ্রে বিজেপি আসার পর এই গণনা করতে অস্বীকার করে। ভারতে শেষবার জাতি ভিত্তিক গণনা শেষবার হয়েছিল ১৯৩১ সাল।
আরও পড়ুন: 'ঠান্ডা লেগেছে রাহুলের', অবশেষে ভারত🌌 জোড়ো যাত্রায় গায়ে জ্যাকেট চাপালেন রাগা
এদিকে বিরোধিতার মাঝেই চলতি বছরেরর শুরুতেই জাতিগত জনগণনা শুরু হয়েছে বিহারে। বিহারের ৩৮টি জেলায় এই জনগণনা হবে। পুরো গণনাটি দু'টি দফায় হবে। প্রথম দফায় ২১ জানুয়ারির মধ্যে গণনার কাজ শেষ হবে। বিহারে বসবাসকারীদের জাতি, উপজাতি এবং বিভিন্ন ধর্মের মানুষদের তথ্য নেওয়া হবে এই সময়কালে। এদিকে প্রতিটি নাগরিকের অর্থনৈতিক অবস্থার বিষয়েও তথ্য রেকর্ড করা হবে এই জনগণনায়। মে মাসে এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে। প্রসঙ্গত, জাতি-ভিত্তিক গণনা বিহারের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। নীতিশ কুমারের জেডি(ইউ) এবং বিহারের মহাগঠবন্ধন সরকারের সব দলগুলি দীর্ঘদিন ধরে এই দাবি জানিয়ে আসছিল। যদিও ♐বিজেপি এই জনগণনার বিরোধী।