অনেক ক্ষেত্রেই চাকরিজীবীরা নিয়োগকারী সংস্থার থেকে ঋণ নিয়ে থাকেন। সেই ঋণে সুদের হার বাজার দর থেকে কম হয়ে থাকে। ব্যাঙ্ক কর্মীদের ক্ষেত্রে এটা সবথেকে বেশি দেখা যায়। তবে সেই 'ছাড়'-এর ওপরে আবার আয়কর দিতে হয়। এই নিয়মের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। উল্লেখ্য, গাড়ি বা বাড়ি কেনার জন্যে নিয়োগকর্তার থেকে ঋণ নিলে অনেক সময়ই তা বাজার দরের থেকে কম সুদে পাওয়া যায়। অর্থাৎ, যদি সাধারণত সেই সময় গৃহঋণে সুদের হার ৯ শতাংশ হয়ে থাকে, কোনও ব্যাঙ্ককর্মী নিজের সংস্থার থেকে তার থেকে কম সুদের হারে ঋণ পেতে পারেন। এবার সেই সুদের হারে যে ব্যবধান থাকে, তার ওপরে আয়কর দিতে হয় সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতা ব্যাঙ্ক কর্মীকে। (আরও পড়ুন: রাজ্যে ষষ্ঠ বেতন কম꧙িশনের সরকারি কর্মীদের💟 জন্য সুখবর, বড় দাবি শাসকদলের শীর্ষ নেতার)
ঋণের সুদের হারের ছাড়ের ওপরে এই আয়কর দেওয়ার নিয়মকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা করা হয়েছিল। অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসারস কনফেডারেশন মামলায় আবেদন জানায়, এই সুদের হারে ছাড়ের ওপর আয়কর ধার্য করার নিয়মকে বাতিল করা হোক। তবে মামলাকারীদের মন ভেঙে দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিল, সুদের হারে ছাড়ের ওপর ধার্য আয়করের ওপর কোনও ছাড় দেওয়া যাবে না। (আরও পড়ুন: রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ৭৭টি মুসলিম শ্রেণিকে OBC সংরক্ষণ দেওয়া গণতন্ত্রকে অꦬপমান: HC)
আরও পড়ুন: ‘টাকা নিয়﷽ে ওবিসি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়’, আদালতের রায়ের পর বিস্ফোরক অভিযোগ সেলিমের
অর্থাৎ, সুপ্রিম কোর্ট বলল, ঋণের সুদের হারে ব্যাঙ্ককর্মীরা যে ছাড় পেয়ে থাকেন, সেই ছাড়ের ওপরে যেমন আয়কর দিতে হচ্ছে, তেমনটাই দিতে থাকতে হবে তাঁদের। সাধারণত, এসবিআই-তে ঋণে সুদের হারের সঙ্গে নিয়োগকর্তার থেকে পাওয়া ঋণের সুদের যে ব্যবধান হয়, সেই পরিমাণের✃ ওপরে আয়কর দিতে হয় চাকরিজীবীদের।
আরও পড়ুন: ময়দানে 🧸মেট্𒅌রোর ভবিষ্যৎ কী? হাই কোর্টে দীর্ঘ শুনানির পর যা জানা গেল...
এই আবহে এই সুদের হারের ছাড়ের ব্যবধান বের করতে নির্ণয়ক হিসেবে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে গণ্য করার বিষয়টিকেও চ্যালেঞ্জ করেছিল মামলাকারী অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসারস কনফেডারেশন। তবে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে যে নিয়ম চলছে, তা বৈধ। দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা এই মামলায় শেষ পর্যন্ত মা🍃থায় হাত পড়ল ব্🌸যাঙ্ক কর্মীদের।
আরও পড়ুন: বুথভিত্তিক🐻 তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশের আইনি বাধ্যবাধকতা নেই,এতে বিভ্রান্তি বাড়বে: EC
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে অর্থ মন্ত্রকের এই সংক্রান্ত নির্দেশিকার পরে ২০০৮ সালে তা চ্যালেঞ্জ করে 🎉মামলা হয়েছিল মাদ্রাস হ🌸াই কোর্টে। তবে উচ্চ আদালত মামলাকারীদের পক্ষে রায় দেয়নি। পরে সেই মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। তবে এবার শীর্ষ আদালতেও মামলাকারীরা জোর ধাক্কা খেলেন।