কলকাতা হাই কোর্টের রায়ে বাংলার প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে। সেই রায়ে সুপার নিউমারিক পোস্ট তৈরির জন্য সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি পর্যবেক্ষণে এও বলা হয়েছিল, প্রয়োজনে যে কাউকে সিবিআই ডাকতে পারে। তবে হাই কোর্টের সেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশে আজ স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, কলকাতা হাই কোর্টের চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এসএসসি এবং রাজ্য সরকার। এই আবহে আজ চাকরি বাতিলের রায়ে স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করে শীর্ষ আদালত। তবে রাজ্যের যুক্তি 🌃শোনার পরে সিবিআই তদন্তের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চꦦন্দ্রচূড়।
আজকে রাজ্যের তরফ থেকে শীর্ষ আদালতে সিবিআই তদন্তের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে দাবি করা হয়, বর্তমানে নির্বাচন চলছে। এই আবহে সুপার নিউমারিক মামলা নিয়ে সিবিআই তদন্ত হলে গোটা মন্ত্রিসভা জেলে চলে যেতে পারে। এই আবহে হাই কোর্টের সিবিআꦉই তদন্তের নির্দেশ যাতে কার্যকর করা না হয়, তার আর্জি জানানো হয়েছিল। এই আবহে সুপার নিউমারিক পোস্ট তৈরির মামলায় সিবিআই তদন্তের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তবে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণে বলেন, ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছিল। প্যানেলের বাইরে থেকে নিয়োগ করা হয়েছে। এমন🎃 অভিযোগ জানার পরেও কী ভাবে সুপার নিউমারিক পোস্টের অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভা?
এদিকে সিবিআই তদন্ত রাজ্যকে সাময়িক স্বস্তি দি𝄹লেও হাই কোর্টের চাকরি বাতিলের রায়ে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, এর আগে কলকাতা হাই কোর্টের রায়ে বলা হয়েছিল, যোগ্য চাকরিপ্রাপকদের চিহ্নিত করতে পারেনি এসএসসি। তাই সবার চাকরি বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে আদালত। এদিন অবশ্য সুপ্রিম কোর্টে এসএসসির আইনজীবী বলেন, ৮ হাজার জনের নিয়োগ বেআইনি ভাবে হলেও ২৩ হাজার চাকরি কেন বাতিল করা হল? তবে তাঁর সেই সওয়ালের পালটা সওয়াল করেন প্রধান বিচরপতি 🐬ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি বলেন, 'প্যানেলের বাইরে নিয়োগ করা হয়েছে। এটা তো পুরো জালিয়াতি। কেন সুপার নিউমারিক পোস্ট তৈরি করা হল?'
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ সবির রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ রায়দান ক🦄রে বলে, ২০১৬ সালে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দ্বাদশে নিয়োগ পাওয়া এসএসসি চাকরিপ্রাপকদের সবার চাকরি বাতিল হবে। পর্যবেক্ষণে উচ্চ আদালত বলে, মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেলে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের চাকরি বৈধ হতে পারে না। অন্যদিকে চাকরিহ✅ারাদের ৪ সপ্তাহের মধ্যে সব বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। প্রাপ্ত বেতনের ওপর ১২ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে চাকরিহারাদের। এর জন্যে চাকরিহারাদের ৪ সপ্তাহ সময় দিয়েছে হাই কোর্ট। এই টাকা জেলাশাসকের কাছে জমা করতে হবে তাঁদের। পরে জেলাশাসক পরবর্তী ২ সপ্তাহের মধ্যে ওই টাকা হাই কোর্টে জমা দেবেন। পরে ২৪ এপ্রিল হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় স্কুল সার্ভিস কমিশন।