অবসর নিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। আজ মঙ্গলবার তিনি তাঁর কর্মজীবন থেকে অবসর নিলেন। দেশের পরবর্তী নতুন প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নেবেন বিচারপতি বিআর গাভাই। গত ১১ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের ৫১ তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নেন সঞ্জীব খান্না। টানা ছয় মাস তিনি প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব সামলেছেন। বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের হাতে ব্যাটন তুলে দেওয়ার পাশাপাশি তিনি জানান, মানুষের কাছ থেকে আস্থা আদায় করা যায় না সেটা অর্জন করে নিতে হয়।
সুপ্রিম কোর্টে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায়ের অংশ হিসাবে থেকেছেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। ৩৭০ ধারা, ইলেক্টোরাল বন্ড, ভিভিপ্যাট সংক্রান্ত মামলার অংশ ছিলেন এই প্রধান বিচারপতি। এখন তিনি সদ্য প্রাক্তন হলেন। এদিন সহকর্মীদের বিদায় জানাতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে সঞ্জীব খান্না বলেন, ‘আমি ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। বহু স্মৃতি নিয়ে যাচ্ছি। একবার আইনজীবী হয়ে গেলে, চিরকাল আইনজীবীই থেকে যেতে হয়। বিচারবিভাগের উপর মানুষের আস্থা আদায় করে নেওযা যায় না সেটা অর্জন করতে হয়। বিচারবিভাগ এমন একটি শব্দবন্ধ, যা বার এবং বেঞ্চ, উভয়েরই প্রতিনিধি। বার হল বিবেকের রক্ষক।’
আরও পড়ুন: দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের একমাত্র ছেলে সৃঞ্জয় ওরফে প্রীতমের রহস্যমৃত্যু
তবে অবসরের পর কোনও সরকারি পদে অধিষ্ঠিত হবেন না বলে সেটা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সঞ্জীব খান্না। পরবর্তী প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইকে নিয়ে সঞ্জীব খান্নার বক্তব্য, ‘উনি আমার সবচেয়ে বড় ভরসার জায়গা। ওঁর মধ্যে মহান বিচারপতিকে পাবেন আপনারা। উনি মৌলিক অধিকার এবং স্বাধীনতাকে রক্ষা করবেন। বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের যে আস্থা সেটা অর্জন করতে হয়। আমি মনে করি পরবর্তী বিচারপতি সংবিধানে উল্লেখিত স্বাধীনতা এবং মৌলিক অধিকার রক্ষা করবেন।’ এটা এখন নয়াদিল্লির বুকে বড় খবর।
এই প্রধান বিচারপতির নির্দেশেই ২৬ হাজার শিক্ষক–শিক্ষাকর্মীদের চাকরি বাতিল হয়েছিল। তবে পরে যোগ্যদের তিনি স্কুলে যেতেও নির্দেশ দেন। এরপর কী করবেন সঞ্জীব খান্না। তাঁর কথায়, ‘অবসর পরবর্তী কোনও পদ আমি গ্রহণ করব না। তবে আইন নিয়ে কিছু করতে পারি।’ বিচারপতিদের সম্পত্তির খতিয়ান তুলে ধরার রীতি শুরু করেন তিনিই। তাই তো তিনি বলেছেন, ‘বৈচারিক ভাবনা অবশ্যই নির্ণায়ক হতে হবে। সুবিধা অসুবিধা দেখে, যুক্তিসঙ্গতভাবে সমাধানসূত্র বের করি আমরা। আপনি ঠিক ছিলেন না ভুল সেটা ভবিষ্যৎই বলে দেবে।’