'রাখে হরি মারে কে',𝔉 অর্থাৎ স্বয়ং হরি যাকে রক্ষা করছেন, তাঁকে মারার সাধ্য কারও নেই। প্রবাদটি অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল এবারও। এমনই কিছু ঘটেছে একজন রাশিয়ান ব্যক্তির সঙ্গে, যিনি ৬৭ দিন ধরে সমুদ্রে একটꦚি ছোট নৌকোয় নিখোঁজ হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন।
সঙ্গের মানু𓃲ষজন মারা গেলেও, তিনিই ছিলেন জীবিত। জীবনের জন্য লড়াই করেছিলেন আপ্রাণ। অবশেষে তাঁকে পাওয়া গিয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওখোটস্কের ঝড়ো সাগরে একটি ছোট রাবার বোটে, দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে জীবিত থাকার পর এই রাশিয়ান ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে।
রাশিয়ান মিডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উদ্ধার হওয়া ব্যক্তির বয়স ৪৫ বছর। নাম মিখাইল পিচুগিন। তিনি নিজের ৪৯ বছর বয়সী দাদা এবং ১৫ বছর বয💫়সী ভাইপোর সঙ্গে ওখোটস্ক সমুদ্রে তিমি মাছ দেখতে গিয়েছিলেন।
সমুদ্রে হারিয়ে গেলেন কীভাবে
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভাই ও ভাইপোকে সঙ্গে নিয়ে মিখাইল অগস্ট মাসের শুরুতে ওখোটস্ক সাগরের উত্তর-পশ্চিম উপকূলে 🔯শান্তর দ্বীপে পাড়ি দেন। খবরভস্ক অঞ্চলের কেপ পেরোভস্কি থেকে সাখালিন দ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার পর ৯ অগস্ট আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যান তাঁরা। পরিবারের অনুরোধে উদ্ধারকাজ শুরু হলেও সন্ধান পাওয়া যায়নি। হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন সকলেই♋।
এদিকে, রাশিয়ান মিডিয়া জানিয়েছে যে নৌকোয় তিনজনের জন্য দুই সপ্তাহের মতো রেশন, গরম কাপড়, লাইফ জ্যাকেট, আগুন জ্বালানোর বন্দোবস্ไত এবং প্রায় ২০ লিটার জল ছিল। এরপর সম্ভবত মিখাইলের নৌকোর ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। সমুদ্রের টানে ভাসতেই থাকে নৌকো। হারিয়ে যায় জনবসতি থেকে দূরে। অনেক খোঁজ শেষে, অবশেষে পিচুগিনকে যখন পাওয়া যায়, তখন তাঁর ওজন ছিল প্রায় ৫০ কিলোগ্র⛄াম, এই ভয়ানক পরিস্থিতির কোপে পড়ে তাঁর শরীরের অর্ধেক ওজনই কমে গিয়েছে।
কীভাবে উদ্ধার করা হল
এদিন একটি মাছ ধরার নৌকো মিখাইলকে ফিরিয়ে এনেছে। তারা প্রথমে মিখাইলের ছোট রাবার বোট দেখে ভেবেছিল যে অকেজো কিছু এমনিই ভেসে রয়েছে। ভাগ্যক্রমে, তারা তবুও এটি একবার খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বলেই পিচুগিনকে ভিতর থেকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়েছে। তাঁ❀কে উদ্ধার করে দ্রুত মগদান হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। মিখাইল ডিহাইড্রেশন এবং হাইপোথার্মিয়ায় ভুগছিলেন তখন। কিন্তু এখন স্থিতিশীল। সুস্থ আছেন। কোনোরকমে মিখাইল প্রাণে বেঁচে গেলেও, তাঁর ভাই ও ভাইপোর জীবনের তরী তীরে পৌঁছোনোর আগেই ডুবে যায়। মিখাইলকে যে নৌকো থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানেই তাঁর ভাই ও ভাইপোর লাশ পড়েছিল।
মিখাইলকে জেলে যেতে হতে পারে
অদ্ভুতভাবে এখন প্রশ্ন উঠছে যে কীভাবে একজন মানুষ এতদিন না খেয়ে, কোনও সঙ্গী ছাড়াই বেঁচে থাকতে পারেন। আবার যখন তাঁর দুজন অত্যন্ত প্রিয় মানুষকে চোখের সামনে এইভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে𓆉 দেখলেন, তিনি কীভাবে ধরে রেখেছিলেন নিজেকে। এমনই প্রশ্ন তুলে, এই ঘটনার সঙ্গে কোনও বেআইনি কর্মকাণ্ড জড়িয়ে রয়েছে কিনা, তা তদন্ত করা হচ্ছে। আবার, রাশিয়ার আইন অনুযায়ী, নাগরিকরা♚ নৌকো নিয়ে উপকূল থেকে দুই নটিক্যাল মাইলের বেশি যেতে পারেন না। কিন্তু মিখাইল সেই আইনি ভেঙেছেন, তাই পরর্বর্তীতে, মিখাইলকে জেলে যেতে হতে পারে।