আজকের দিনে সবচেয়ে অপপ্রয়োগ হচ্ছে বাক-স্বাধীনতার অধিকারের, তবলিগি জামাত সম্পর্কিত মিডিয়া কভারেজ নিয়ে শুনানির সময় বলল সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে এই ইস্যুতে কেন্দ্রের হলফনামা নিয়ে নিজেদের অসন্তোষ ব্যক্ত করল শীর্ষ আদালত। এদিন জামিয়াত উলেমা-ই-হিন্দ ও অন্যান্যদের দায়ের করা মামলার শুনানি হচ্ছিল সুপ্রিম কোর্টে। তারা অভিযোগ করেছে করোনার সঙ্গে তবলিগিদের যোগ নিয়ে মিডিয়ার প্রচারে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়িয়েছে। প্রধান বিচারপতি বোবডের বেঞ্চ বলে যে হাল আমলে বাক স্বাধীনতার অধিকারের সবচেয়ে বেশি অপপ্রয়োগ হয়েছে। জামাতিদের পক্ষে দুষ্মন্ত দাভে বলেন কেন্দ্র তাদের হলফনামায় বলেছে যে পিটিশনকারীরা বাকস্বাধীনতার অধিকার খর্ব করতে চাইছে। তখন আদালত বলে যে ওঁরা যা চায় লিখতে পারে, আপনি যা চান বলতে পারেন। তবে যেভাবে কেন্দ্রের হয়ে একজন জুনিয়র আমলা হলফনামা দায়ের করেছে তাতে ক্ষিপ্ত হয় আদালত। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সচিবের পরিবর্তে একজন অতিরিক্ত সচিব হলফনামা দায়ের করেন। সরকারি কৌঁসুলীকে আদালত বলে যে এভাবে আপনারা কোর্টের সঙ্গে ব্যবহার করতে পারেন না। হলফনামাটিতে মিডিয়া রিপোর্টিং নিয়ে কোনও অবস্থান নেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য অবান্তর ও অবাস্তব কথা লেখা আছে বলে জানায় ডিভিশন বেঞ্চ। আইঅ্যান্ডবি মন্ত্রকের সচিবকে হলফনামা দিতে হবে, যেখানে জানাতে হবে যে পক্ষপাতমূলক সাংবাদিকতা রোখার জন্য তারা কি করেছেন। দুই সপ্তাহ বাদে ফের এই মামলার শুনানি হবে। এদিন কেন্দ্র জানায় যে তারা গাইডলাইনস ও অ্যাডভাইজারি পাঠিয়েছে চ্যানেলগুলি। কিন্তু এটিকে পাশ কাটানোর পদ্ধতি বলে জানায় আদালত। এর আগে কেন্দ্র জানিয়েছিল যে তবলিগি ইস্যু নিয়ে মিডিয়াকে একেবারে কভারেজ করতে মানা করে দিলে সেটি গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হবে। কোন বিষয় আপত্তিকর, সেটি নিয়ে স্পষ্ট না জানালে কেবল টিভি নেটওয়ার্ক রুলস অনুযায়ী একতরফা কোনও আদেশ দেওয়া যাবে না বলে জানায় কেন্দ্র। প্রসঙ্গত লকডাউনের আগে মার্চের মাঝখানে তবলিঘি জামাতের সদস্যরা দিল্লির মার্কাজে এসেছিলেন। তাদের অনেকেই করোনাা আক্রান্ত হন। তাদের থেকে দেশে করোনা ছড়াচ্ছে বলে অনেক মিডিয়া সংস্থা দাবি করে। এইরকম প্রচার বন্ধ করতেই শীর্ষ আদালতে যায় কিছু মুসলমান সংগঠন।