মুম্বই ২৬/১১ সন্ত্রাস হামলার বার্ষিকীর এখনও এক মাসও বাকি নেই। তার আগে সেই অভিশপ🌌্ত দিনকে স্মরণ করল ভারত। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে সন্ত্রাস দমন ইস্যু প্রসঙ্গ। সেখཧানে উপস্থিত ছিলেন তাজ প্যালেস হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার। তিনি তুলে ধরলেন সেই ভয়াবহ স্মৃতির প্রসঙ্গ। সেই দিন কী ঘটেছিল, তার হাড়হিম করা বর্ণনা দিলেন তাজ প্যালেস হোটেলের প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার কে এস কাঙ্গ।
সেই অভিশপ্ত রাতে প্রাণের বাজি রেখে হোটেলে আগত অতিথিদের রক্ষা করাই ছিল তাজ প্যালেস হোটেলের কর্মীদের একমাত্র লক্ষ্য। সেই দিনের স্মৃতিচারণায় কে এস কাঙ্গ বলছেন,' সেদিনের বিকেলে ২০০০ জন অতিথি আর স্টাফরা সকলেই নিরস্ত্র ছিলেন, আর তাঁদের সামনে ছিল ৪ জঙ্গি। আমাদের স্টাফেরা জীবন বাজি রেখে আমাদের অতিথিদের প্রাণরক্ষায় সাহায্য পেয়েছিলেন কয়েকজনের, সাহসী পুলিশ কর্মীদের, এটি ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা ধরে চলেছিল। যতক্ষণ না পর্যন্ত এনএসজি ময়দানে নেমেছিল।' ২০০৮ সালের নভেম্বর মাসের ২৬ তা⛦রিখের সেই সন্ধ্যেয়ে হোটেলের রান্নাঘরে, লবিতে, রেস্তোরাঁ, করিডরে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়তে থাকেন তাঁদের স্টাফরা। চারিদিক কতটা রক্তময় হয়ে উঠেছিল, তার বর্ণনাও দেন কে এস কাঙ্গ।
‘ওঁরা মানববন্ধন তৈরি করে বুকে গুলির আঘাত নিয়েছিলেন, যাতে অতিথিরা রক্ষা পান। যে অতিথিরা আমাদের বিশ্বাস করেছেন।’ কে এস কাঙ্গℱ তুলে ধরেন ভারতীয় সভ্যতা সংস্কৃতির ‘অতিথি দেবভব’র বার্তা। তিনি বলছেন, ‘মনে হয়েছিল আমাদের বাড়ি আক্রান্ত, আর তাকে রক্ষা করতে হবে।’ কাঙ্গ জানান, সেই রাতে একজন স্টাফও প্যালেস ছেড়ে বাড়ি যাননি। তিনি বলছেন, ‘এই তাজমহল আমাদের ভালোবাসার সৌধ’। প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে নভেম্বরের ২৬ তারিখ পাকিস্তানের মদতে একাধিক জঙ্গি মুম্বইতে প্রবেশ করে এলোপাথারি গুলি চালিয়ে শতাধিক জনকে হত্যা করেছিল। এরপর একজন জঙ্গিকে ধরেও ফেলা যায়। বাকিদের নিকেশ করা হয়। ধৃত জঙ্গি আজমল কাসাভকে মৃত্যুদণ্✤ড দেওয়া হয়। বিশ্বের সন্ত্রাস হামলার ইতিহাসে এই ঘটনা সবচেয়ে মর্মান্তিক হিসাবে বিচার্য হয়।