ন্যাশানালিস্ট কংꦚগ্রেস পার্টির প্রধান শরদ পাওয়ার সোমবার প্রধানমꦫন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আবেদন করেছেন, আমাদের উদ্বেগটাকে সিরিয়াসলি নিন। আম আদমি পার্টির নেতা মণীশ সিসোদিয়ার গ্রেফতারির ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি একথা জানিয়েছেন। এদিকে মণীশের গ্রেফতারির ঘটনার জেরে বিরোধী নেতারা মোদীকে খোলা চিঠি পাঠিয়েছিলেন তার মধ্যে শরদ পাওয়ার অন্যতম। পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে অপব্যবহার করা হচ্ছে।
শরদ পাওয়☂ার সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছে যে ৯জন সই করেছেন তার মধ্য়ে প্রথম সইটা আমার। আমাদের উদ্বেগটা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য আবেদন করেছি। যে মানুষটা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকারে শিক্ষাক্ষেত্রে অত্যন্ত ভালো কাজ করছিলেন তাকেই গ্রেফতার করা হল।যাঁকে সকলে প্রশংসা করতেন তাকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে মণীশ সিসোদিয়া ছিলেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী। তিনি শিক্ষামন্ত্রীও ছিলেন। তবে তিনি গ্রেফতার হওয়ার পরে তিনি মন্ত্রীত্ব থেকে পদত্য়াগ করেন। এর আগে দিল্লি স্বা🐼স্থ্যমন্ত্রী সত্য়েন্দ্র জৈনকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল আর্থিক প্রতারণা মামলায়। তিনিও পদত্যাগ করেছিলেন।
শুক্রবার হোলির পরে সিসোদিয়ার মামলার শুনানি হবে। এই ঘটꦜনায় কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে অত্যন্ত ভুলভাবে সরকার ব্যবহার করছে, বিরোধীদের দাবিয়ে রাখতে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
বাংলা থেকে দিল্লি একই অভিযোগ উঠছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করে বিরোধীদের দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে বার বার বিরোধীরা অভিযোগ তোলেন🍨। ত🎃বে আপ মণীশ সম্পর্কে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
শরদ পাওয়ার জানিয়েছেন, এই ধরনের গ্রেফতারির একাধিক ঘটনা রয়ꦺেছে। প্রাক্তন মন্ত্রী অনিল দেশমুখ, নবাব মালিককেও গ্রেফতার করেছিল ইডি। আর্থিক প্রতারণার মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। নবাব মালিক এখনও কারাগারের ওপারে রয়েছেন। দেশমুখ গতবছর ডিসেম্বর মাসে জামিন পেয়েছিলেন।
শরদ পাওয়ার জানিয়েছেন, যারা তাদের দলে যোগ দিচ্ছেন তাদের সব দোষ মাফ হয়ে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আর কোনও অভিযোগ থাকছে না। এদিকে এর আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল এই একই দাবি করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন বিজেপির ওয়াশিং মেশিনের কথা। ꦓএদিকে এদিন যে ৯জন নেতা সই করেছেন চিঠিতে তার মধ্য়ে কেজরিওয়াল নিজেও রয়েছেন। বাংলার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও ভারত রাষ্ট্রীয় সমিতির কে চন্দ্রশেখর সহ অন্যান্যরা সই করেছেন। পঞ্জাবের সিএম,বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী, মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে, ফারুক আবদুল্লাহ, সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব সই করেছেন চিঠিতে।