তালিবান আছে তালিবানেই! আফগানিস্তান পুনরায় দখল করার পর একের পর এক আচরণে সেটাই প্রমাণ করছে এই জঙ্গি শাসকরা। এবꦰার তাদের লক্ষ্য হল, আফগানিস্তান থেকে সমস্ত 'অ-🌸ইসলামি' বই চিরকালের মতো সরিয়ে দেওয়া!
এর জন্য বিদেশ থেকে আমদানি করা সমস্ত বই খতিয়ে দেখছে তালিবরা। সেইসঙ্গে, দেশের বিভিন্ন লাইব্রেরি থেকে নিজেদের অপছন্দের বইও সরিয়ে দিচ্ছে। পাꦍশাপাশি, তৈরি করা হয়েছে একটি তালিকা। তাতে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোন কোন বিষয়ের উপর লেখা বই আর আফগানিস্তানে রাখা যাবে না!
তালিবানের দাবি, 'অ-ইসলামি' এবং 'সরকারবিরোধী' সমস্ত বই সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। এমনকী, সেগুলির প্রꩲকাশনা ও বিপণনও বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুসারে, ২০২১ সালে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন তালিবান ফের একবার আফগানিস্তানের মাটি দখল কর𝓀ার পরই সেখানে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রক গড়ে তোলে 'তালিবান সরকার'! সেই মন্ত্রকের অধীনেই নাকি 🍃একটি কমিশন তৈরি করা হয়েছে।
আপাতত এই তথাকথিত কমিশনই আফগানিস্তানজুড়ে বই-নিধন যজ্ঞ চালাচ্ছে। তাদের বক্তব্য, কেবলম🅷াত্র ইসলামি আই ও শরিয়া স্বীকৃতি বই-ই আফগানিস্তানে থাকবে!
গত অক্টোবর মাসে এই সংক্রান্ত একটি ঘোষণা করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক। তাতে জানানো হয়, তারা প্রায় ৪০০টি (শিরোনাম হিসাবে) বই চিহ্নিত করেছে। যা কিনা 'ইসলাম ও আফগান মূল্যবোধের বিরোধী। এইꦍ বইগুলির অধিকাংশই বাজা🌳র থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।'
ওই মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, বাজার থেকে যে বইগুলি 🌞সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেই ফাঁকা জায়গা পূরণ করার জন্য কোরান এবং বিভিন🦩্ন ধরনের ইসলামপন্থী বই ছাপানো, বিপণন ও বিক্রি করা হবে। প্রকাশনার দায়িত্বে থাকা বিভাগকে সেই নির্দেশও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে, বাজার থেকে মোট কত সংখ্যায় তথা𒆙কথিত এই নিষিদ্ধ বইগুলির সংস্করণ তুলে নেওয়া হয়েছে, তালিবানের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে তা প্রকাশ করা হয়নি।
♊কিন্তু, এএফপ🅰ি সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, সংখ্যাটা আদতে বিপুল। এই প্রসঙ্গে কাবুলের কোনও এক প্রকাশক এবং একজন সরকারি কর্মী সংবাদমাধ্যমকে গোপনে কিছু তথ্য সরবরাহ করেছেন। তাঁদের দাবি, আফগানিস্তানে দ্বিতীয় দফায় তালিবানের দখলদারি ফেরার একবছরের মধ্যেই বেশ কিছু বইকে চিহ্নিত করে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। সম্প্রতি, সেই প্রক্রিয়া আবারও শুরু করেছেন জঙ্গি শাসকরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রদের উদ্ধৃত করে এএফপি-র তরফে দাবি করা হয়েছে, 'প্রচুর পরিমাণে বিষয়বস্তুর উপর সেন্সরশিপ কার্যকর করা হয়েছে। কাজ করাটাই অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। সর্বত্🐠রই সকলে আতঙ্কে রয়েছ📖েন।'