বর্তমানে অনলাইন স্ক্যাম খুবই সাধারণ একটি ব্যাপার। দিন দিন ইন্টারনেটের ব্যবহার বৃদ্ধির সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিভিন্ন ধরণের অনলাইন স্ক্যাম। এখন অনলাইনে সম্পর্ক স্থাপনের প্রবণতাও বেড়েছে অনেক বেশি। আর এই প্রতারণার সুযোগ নিচ্ছে প্রতারকরা। বিভিন্ন ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটের ভুয়ো প্রোফাইল তৈরি করে জাল বুনছে প্রতারকরা। সম্প্রতি একটি ঘটনা সামনে এসেছে, একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের থেকে ম্যাট্রিমোনিয়✨াল সাইটের মাধ্যমে ১.১ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে এক মহিলার বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি,প্রতারিত ব্যক্তিটি ৪১ বছর বয়সী এক সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তিনি ব্রিটেনে কর্মরত ছিলেন, সম্প্রতি কিছু অফিসিয়াল কাজে বেঙ্গালুরু এসেছিলেন। বিবাহের জন্য পাত্রী খুঁজতে তিনি একটি ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটে নাম লেখান। এখানেই তার সাথে পরিচয় হয় একজন ম♍হিলার এবং দুজনে নম্বর বিনিময় করেন। এরপর নিয়মিত কথা বলতে শুরু করেন। তারা পরস্পর সামনাসামনি কখনও দেখা করেননি। অভিযুক্ত মহিলাটি ব্যাক্তিটিকে বলেছিলেন, সে তার মায়ের সাথে থাকে এবং তার বাবা নেই। তিনি সেই ব্যাক্তির সাথে গাঁটছড়া বাঁধতেও আগ্রহ দেখিয়েছিল।
২ জুলাই মহিলাটি তার মায়ের স্বাস্থ্যের সমস্যার কথা জানিয়ে ওই ব্যক🍬্তির কাছ থেকে ১,৫০০ টাকা ধার নিয়েছিল। এরপর ৪ জুলাই রাত ১২ টার দিকে মহিলাটি তাকে ভিডিয়ো কল করেন। ভিডিয়ো কল চলাকালীন মহিলাটি তার পোষাক খুলে ফেলেন এবং ব্যাক্তিটির অজান্তেই কলটি রেকর্ড করে। এর পর সে ব্যক্তিটির কাছে টাকার চেয়ে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে। মহিলাটি ব্যক্তিটিকে বার বার হুমকি দিতে থাকে যদি তাকে টাকা না দেওয়া হয় তাহলে সে ক্লিপটি ব্যাক্তির বাবা ও মায়ের কাছে শেয়ার করে দেবে ।
এমন অপ্রীতিকর ঘটনায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার তখন ১ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা দুটি ভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এবং চারটি ফোন নম্বরে পাঠিয়েছিল। এরপর মহিলাটি আরও টাকার জন💫্য ব্ল্যাকমেইল করতে থাকলে তখন তিনি বাধ্য হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন। এই প্রসঙ্গে এস গিরিশ, ডিসিপি (হোয়াইটফিল্ড), বলেছেন যে পুলিশ অপরাধীর অ্যাকাউন্টে প্রায় ৮৪ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করতে পেরেছে। অভিযুক্ত মহিলা ইতিমধ্যে বাকি ৩০ লক্ষ টাকা ব্যবহার করে ফেলেছেন। এই ঘটনার পরে আরও একবার সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। প্রযুক্তির ব্যবহারের সাথে সাথে সতর্কতা অবলম্বন করার কথা মনে করাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।