অবশেষে ইডির ডিরেক্টরের মেয়াদ বৃদ্ধির ইস্যুতে এবার কিছুটা হলেও স্বস্তি পেল কেন্দ্রীয় সরকার। সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিয়েছে, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইডির ডিরেক্টরের কার্যকালের মেয়াদ বৃদ্ধি করা যাবে। বৃহত্তর স্বার্থে এই অনুমতি দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেক্ষেত্রে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার। কারণ কেন্দ্রীয় সরকারই জানিয়েছিল, ইডির ডিরেক্ট💛র সঞ্জয় কুমার মিশ্রকে খুব দরকার। সেকারণেই তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য আবেদন করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এদিকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সঞ্জয় কুমার মিশ্রের কার্যকালের মেয়াদ ছিল। সেক্ষেত্রে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ বৃদ্ধি হবে কি না তা নিয়ে রীতিমতো চাপে পড়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে শেষ পর্যন্ত আশার কথা, এক্ষেত্রে সম্মতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কিছুটা হলেও চাপমুক্ত হল কেন্দ্রীয় সরকার।
তবে আদালত অবশ্য জানিয়ে🐠 দিয়েছে, পরে এসকে মিশ্রের কার্যকালের ম❀েয়াদ আর বৃদ্ধি করা যাবে না। ১৫-১৬ সেপ্টেম্বর মধ্যরাত পর্যন্তই তাঁর কার্যকালের মেয়াদ। এরপর তাঁকে দায়িত্ব থেকে সরে যেতে হবে।
এদিকে সরকারের তরফে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের🦹 পজিটিভ রিভিউয়ের জন্য় এসকে মিশ্রকে খুব দরকার। এদিকে শুনানির সময় বিচারপতি বিআর গভাই সরকারকে প্রশ্ন করেছিলেন, আপনার গোটা ডিপার্টমেন্ট তাহলে পুরো অক্ষম হয়ে গিয়েছে এই ছবিটাই তো হাজির করছেন। একজনকে ছাড়া কাজই করতে পারছেন না?
সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা জানিয়েছেন, কেউ অপরিহার্য নন। কিন্তু তাঁর কার্যকালের মেয়াদ বৃদ্ধি করলে ওই রিভিউটা করতে দেশের সুবিধা হত। ত🌃িনি আদালতে জানিয়েছিলেন, এটা বছর বছর করা হয় এমন ব্যাপার নয়, যে কোনও ব্যক্তি তাতে হাত দিতে পারবেন। এটা ২০১০ সালে করা হয়েছিল। এরপর ২০১৯ সালে করা হয়। এরপর কোভিডের জন্য হয়নি। তবে তাঁর ধারাবাহিকতা থাকলে দেশের সুবিধা হবে। সরকারের পক্ষের আইনজীবীরা জানান, এসকে মিশ্রের কার্যকালের মেয়াদ শেষ করে দিলে দেশের ইমেজেও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
এদিকে এসকে মিশ্রের কার্যকালের মেয়াদ বৃদ্ধিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একের পর এক আবেদন জমা পড়েছিল আদালতে। কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুর্যওয়ালা, জয়া ঠাকুর, তৃণমূল এমপি মহুয়া মৈত্র সহ অনেকেই এই আবেদন করেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম ﷽কোর্টে স্বস্তি পেল সরকার। মেয়াদ বাড়ছে এসকে মিশ্রের।